বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

শেয়ারবাজারে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দরপতনের প্রবণতা থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। এ কারণে দিশাহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন। শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বৈঠকেরও দাবি জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর মাধ্যমে বাজারের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করতে চান তারা। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভে বিনিয়োগকারীরা এ দাবি জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, বাজারে বর্তমানে যে দুর্দশা চলছে এবং কেন বাজার এমন অবস্থায় রয়েছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীকে সঠিকভাবে জানানো হচ্ছে না। তারা জানান, সে জন্যই তারা সরাসরি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বলেন, গত ২২ এপ্রিল শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে অর্থমন্ত্রী যে বৈঠক করেছেন তা শেয়ারবাজারের স্বার্থে করা হয়নি। এ জন্যও তারা স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক দাবি করেন। বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, বৈঠক নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল যে, অর্থমন্ত্রী বাজারের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু তার কিছুই হয়নি। উল্টো অর্থমন্ত্রীর বৈঠকের পর মঙ্গলবারের মতো বুধবারও পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারের অস্বাভাবিক এবং অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে ২ সপ্তাহ ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা ছয় দফা দাবিও তুলে ধরেন। দাবিতে রয়েছে, জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বন্ধ,  ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থানরত কোম্পানিগুলোকে ইস্যু মূল্যে বাইব্যাক, আইপিও এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বাধ্যতামূলক, খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগ।

 বাজার লেনদেনে দেখা গেছে, দিনশেষে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২১১ ও ১৮৬৮ পয়েন্টে। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার।  ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১০৪টির বা ৩০ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২০৩টির বা ৫৯ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির বা ১১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৭ পয়েন্টে। হাত বদল হওয়া ২৩৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দর।

সর্বশেষ খবর