বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

নেত্রকোনার দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুদ্ধাপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার সোহরাব ফকিরসহ দুই রাজাকারকে মৃত্যুদ-  দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মোট তিনটি অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হয়। গতকাল বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা করে।

মৃত্যুদ- পাওয়া দুই আসামি হলেন সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী ও তৎকালীন শান্তি কমিটির সদস্য রাজাকার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি। এর আগে ৭ মার্চ শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে আদালত। ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপসকান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আবদুশ শুক্কর খান।

রায় ঘোষণা শেষে মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, ‘ওই ট্রমাগুলো আজও দেশের মানুষ বহন করে চলেছে। আগামী দিনে যাতে এ রকম কোনো গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত না হয় সে বিষয়ে বলে দিয়েছে আদালত। ছয়টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদ  দেওয়া হয়েছে। অন্য তিনটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।’ রায়ের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, ‘মামলার গণহত্যার আগের গণহত্যার বিষয়ে আগের সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করেছে আদালত। একই সঙ্গে গণহত্যা মানবসভ্যতায় যেন আর সংঘটিত না হয়, আমাদের দেশে তো নয়ই। বিশ্ব সম্প্রদায়কেও যেন গণহত্যার দায় এবং ক্ষত বহন করতে না হয় সে বিষয়েও রায়ে মন্তব্য দিয়েছে আদালত। আগের গণহত্যার মামলায় রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে যে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে এটি যুক্ত করেছে আদালত। আমাদের আইসিটি অ্যাক্টে গণহত্যার সংজ্ঞাটি নতুন করে নির্ধারিত হওয়ার পর ট্রাইব্যুনালের এ বক্তব্য প্রমাণ করে যে, গণহত্যা কখনো ক্ষমার যোগ্য নয়। এটি পুনর্বার যেন সংঘটিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’ ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাইয়ের পর ২৮ নভেম্বর তা ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা ও দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর