শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ওয়াসার পানি পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়াসার পানি পরীক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

ওয়াসার পানি পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে নগরবাসী। ওয়াসা নাগরিকদের ‘শতভাগ সুপেয় পানি’ দিচ্ছে- সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের এমন দাবিতে সৃষ্ট বিতর্কের প্রেক্ষাপটে পানি পরীক্ষার দাবি জানাল তারা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজধানীতে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বছরের অধিকাংশ সময় এ সংকট থাকলেও গরমকালে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। গ্রাহকদের বরাবরই অভিযোগ থাকেথ- ওয়াসার পানি মারাত্মক দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলাটে ও ময়লায় ভরা।

এমন পানি না ফুটিয়ে পান করা সম্পূর্ণ অনিরাপদ হওয়ায় তারা পানি ফুটিয়ে পান করছেন। শতভাগ পরিশোধন না করেই নগরবাসীকে দূষিত পানি খাওয়াচ্ছে ওয়াসা। যার ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ময়লাসহ দুর্গন্ধযুক্ত পানি খাচ্ছেন নগরবাসী। পেটের পীড়াসহ নানা ধরনের জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব হয় দুর্গন্ধযুক্ত এসব অনিরাপদ পানি থেকেই। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ নিরাপদ পানি আন্দোলনের (বানিপা) সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, বিসিএইচআরডির নির্বাহী মাহবুব হক, পবার অর্গানাইজার শরিফুজ্জামান খান সাঈদ। আবু নাসের খান বলেন, ‘ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়’- এমন দাবি করার আগে সংস্থাটিকে অবশ্যই এর পানি পরীক্ষা করে সেই প্রতিবেদন জনগণকে জানাতে হবে। আমরা যখন জানতে পারি, মন্ত্রীরাও বাসায় ওয়াসার পানি ফুটিয়ে খান তখন তা ওয়াসার জন্য লজ্জার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাই ওয়াসার পানির শতভাগ বিশুদ্ধতার দাবির মাধ্যমে আসলে নগরবাসীকে অপমানিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ মোবাইলফোন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওয়াসা আমাদের খারাপ পানি দিচ্ছে। আবার দাবি করছে শতভাগ বিশুদ্ধতার। এটি ভোক্তা অধিকার আইনবিরোধী।  এর আগে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯১ শতাংশ গ্রাহকই ওয়াসার পানি ফুটিয়ে পান করেন। বাসাবাড়িতে এই পানি ফোটাতে বছরে ৩৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৭ হাজার ঘনমিটার গ্যাস পোড়াতে হয়। এতে আম-জনতার খরচ হয় ৩৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর