উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে আমরণ অনশনরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন স্থগিত করেছেন। তৃতীয় দিনের অনশন চলাকালে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. হানিফের নেতৃত্বে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সুশীল সমাজের একটি প্রতিনিধি দলের অনুরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আপাতত অনশন স্থগিত করেন। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। তবে সোমবারের মধ্যে উপাচার্যকে অপসারণ করা না হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে সোমবার থেকে স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দও অনশনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি দলের অন্যতম অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল। এর আগে উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএস ইমামুল হকের অপসারণের একদফা দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়। উপাচার্যের অপসারণে এক মাস ধরে আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বুধবার বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অনশনে যোগ দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন শিক্ষক। শিক্ষার্থী তনুশ্রী ভট্টাচার্য জানান, উপাচার্য অপসারণ না হলে ফের কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনিসহ অন্যরা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদ করলে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করেন। ২৯ মার্চ ভিসি তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ না করে এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন।
