শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ধান ব্রি-৮১ চাষে সাফল্য

জামান আখতার, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় নতুন ধান ব্রি-৮১ চাষে সাফল্য

নতুন জাতের ধান ব্রি-৮১ আবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলিয়ারপুর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমির প্রদর্শনী প্লটে তিনি এ ধানের চাষ করেন।

গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রদর্শনী প্লটের শস্য কর্তন ও ফলন যাচাই করা হয়। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ জানান, এক বিঘা জমিতে ব্রি-৮১ ধান আবাদ করে ২৪ মণ ফলন পাওয়া গেছে। বহুল প্রচলিত ব্রি ধান ২৮ ও ব্রি ধান ৫০ জাতের চেয়ে উন্নত এ ধান আবাদ করতে খরচ কিছুটা কম হয়। তাছাড়া অতিবৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় এ ধান হেলে পড়ে না। ফলে প্রতিকূল আবহাওয়াতেও এ ধানের ফলন ভালো হয়। ব্রি-৮১ জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লটে উপস্থিত চাষিরা জানান, ধানটি দেখতে অনেকটা বাঁশমতি বা বাংলামতি ধানের মতো। দানাগুলোও সুন্দর, পরিপুষ্ট ও ঝরঝরে। ধারণা করা যাচ্ছে, অচিরেই এ জাতের ধান কৃষকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিক জানান, নতুন জাতের এ ধান আমার এলাকায় পরীক্ষামূলক চাষ হওয়ায় আমি বেশ খুশি। আলিয়ারপুর গ্রাম থেকে ধানটি সারা জেলায় এমনকি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আমি আশা করি। এ জাতের ধান চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশি ব্রি-২৮ ধান এবং ইরানি ধান আমল থ্রি জাতের ক্রস করে ২০১৭ সালে ব্রি-৮১ ধান উদ্ভাবন করেছে। মাঠ পর্যায়ে এবারই প্রথম সারা দেশে এ জাতের ধানের আবাদ হচ্ছে। এ ধানের ভাত বেশ সুস্বাদু এবং এর বাজার দরও চাষিরা বেশি পাবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশিমুল বারী বলেন, নতুন জাতের এ ধান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রদর্শনী প্লটে চাষ হচ্ছে। ধানের খেত দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমার ধারণা এ জাতের ধান অন্য সব জাতের ধানের চেয়ে ভালো হবে এবং কৃষকরাও অল্প সময়ে এ জাতের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

সর্বশেষ খবর