শিরোনাম
রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
শিল্পকলায় দুই সাধকের সংগীত

‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’

শেকড়ের সুরের সঙ্গে দেহতত্ত্বের মিশ্রণ ঘটিয়ে এদেশের লোকসংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম ও লোককবি রাধা রমণ। এই দুই সংগীতজ্ঞের সুর এদেশের অগণিত সুরপিয়াসীর হৃদয়ের গহিনে আজও দারুণভাবে নাড়া দেয়। রাজধানীর বাসিন্দাদের মাটির সুরে সিক্ত করতেই শাহ আবদুল করিম ও রাধা রমণের গান নিয়ে ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’ শিরোনামের সংগীতাসরের আয়োজন করেছে রাধা রমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। গতকাল সন্ধ্যায় একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের এই সুরের আসরে সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, বিশ্বজিৎ রায়, আবুবকর সিদ্দিক, অণিমা মুক্তি গোমেজ, খায়রুল ইসলাম ও কানিজ খন্দকার নিতু। অনুষ্ঠানের শুরুতেই দুটি সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশন করেন রাধা রমণ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের শিল্পীরা।

এরপর একক কণ্ঠে খায়রুল ইসলাম গেয়ে শোনান রাধা রমণের জলে যাইও না গো রাই ও আমারে আসিবার কথা কইয়া’। কানিজ খন্দকার নিতু গেয়ে শোনান শাহ আবদুল করিমের গান ‘আমার বন্ধুরে কই পাবো সখী গো, এবং ‘কথা রাখো কাছে থাকো,’ ও আবুবকর সিদ্দিকের কণ্ঠে গীত হয়- তুমি বিনে আকুল পরান’ ও ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, ‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই, ও ‘বসন্ত বাতাসে সই গো। লাভলী দেব পরিবেশন করেন রাধা রমণের ‘তুই বড়ো কঠিনরে বন্ধু, ও ‘শ্যাম কালিয়া সোনা বন্ধুরে, ‘জলের ঘাটে দেইখা আইলাম ও  ‘জলে গিয়াছিলাম সই। বিশ্বজিৎ রায় গেয়ে শোনান- রাধা রমণের ‘আমি ডাকি কাঙালিনী, তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’, গৌর নামের চলছে গাড়ি, ও ‘হরি গুণাগুণ কৃষ্ণ গুণাগুণ  এবং চন্দনা মজুমদার গেয়ে শোনান- শাহ আবদুল করিমের গান ‘এখন ভাবিলে, বসন্ত বাতাসে সই গো, আমি তোমার কলের গাড়ি’ ও ‘দরদিয়ারে’।

নারী ও শিশু নির্যাতন ঠেকাতে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ : ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।

গতকাল বিকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত হয় নারী ও শিশু নির্যাতনবিরোধী এই প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাধারণ সম্পাদক কাজী এবিএম ইকবাল, নিখিল দাস, কবি হাসান ফকরি, কবি মাশুক শাহী, খেলাঘর আসরের শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ। আগুনে পুড়িয়ে হত্যাসহ সারা দেশে চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন ঠেকাতে হলে সাংস্কৃতিক গণজাগরণ চাইছেন অনুষ্ঠানের বক্তারা।

তারা বলেন, অতীতে ঘটে যাওয়া নারী ও শিশু নির্যাতন এবং হত্যাকান্ডে র সুষ্ঠু ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়ার কারণেই মূলত নির্যাতনকারীরা একের পর এক নৃশংস ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। এ সময় শুধু নুসরাত নয়, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু এবং ঢাকায় আফসানাসহ বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া সব নারী ও শিশু নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান বক্তারা।

নারী ও শিশু নির্যাতনবিরোধী সাংস্কৃতিক পর্ষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় সংগীত পরিবেশন করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের শিশু-শিল্পীরা। এ ছাড়া আরও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে বিবর্তন। একক সংগীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা রায় সুপ্তি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন সুব্রত বিশ্বাস, খোরশেদ আলম মামুন, তিথি সুবর্ণা, অভি জাহিদ, রঘু অভিজিৎ রায় প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর