শিরোনাম
রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইতালিতে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাংলাদেশের সাত পণ্য

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

ইতালিতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সাতটি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। পণ্যগুলো হচ্ছে- তৈরি পোশাক, মাছ ও চিংড়ি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিকস, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষিজাত পণ্য। ইউরোপের ওই দেশটির বাজারে ভোক্তাদের চাহিদা বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের রপ্তানি ঝুড়ি থেকে এই পণ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

গত ১৩ মার্চ দূতাবাসের ইকনোমিক কাউন্সিলর মানস মিত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘ইতালির বাজারে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে চলতি বছরে ওই পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশের ওই প্রতিনিধি দল ইতালির সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী চেম্বারগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা করা যায়।’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সরকারের নির্দেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের ৭টি পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া সেই কর্মপরিকল্পনার একটি। এই খাতগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতালির ব্যবসায়ী ও ট্রেড বডিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির কাজটি করবে দূতাবাস, যাতে করে ইতালির ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে সংশ্লিষ্ট পণ্য বেশি পরিমাণে আমদানি করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইতালির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি বাজার হিসেবে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইতালি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশটিতে ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। একই সময়ে দেশটি থেকে আমদানি করা হয়েছে ৭১৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণে উন্নীত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, তারা ইতালিয়ান ট্রেড এজেন্সি (আইটিএ)-এর সঙ্গে এরই মধ্যে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দূতাবাসের প্রতিনিধি দল দেশটিতে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও আগ্রহের কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে ইতালি সরকারের সহযোগিতা চান। ওই সময় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের গুণগত মান নিয়েও কথা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের পেশাজীবী ও তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইতালিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে ইতালিয়ান ব্যবসায়ী সংগঠন কনফিনডাস্ট্রিয়া এবং ইতালিয়ান ফরেন ট্রেড অ্যাসাসিয়েশন (এআইসিই)-এর সঙ্গেও বৈঠক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দূতাবাসের চিঠিতে।

সর্বশেষ খবর