সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
চলছেই সামাজিক অপরাধের ভয়াবহতা

ঢাকায় ক্লিনিকে শিশু শেরপুরে অপহরণের পর ছাত্রীকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ও শেরপুর প্রতিনিধি

রাজধানীতে একটি ক্লিনিকে শিশু ধর্ষণ ও শেরপুরে ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখানের একটি ক্লিনিকে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৩) এক চিকিৎসক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার পর বিজয় কৃষ্ণ নামের ওই পল্লী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে ওই মাদ্রাসাছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। মেয়েটির বাবা জানান, তারা উত্তরখান এলাকায় থাকেন। ২৩ এপ্রিল জ্বর থাকার কারণে মেয়েকে নিয়ে তিনি দক্ষিণখান চালাবন এলাকায় অবস্থিত ‘দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা’ নামের একটি ক্লিনিকে যান। সেখানে যাওয়ার পর পল্লী চিকিৎসক ওই শিশুকে দেখেন এবং প্রেসক্রিপশনে ‘সিডিল’ নামে একটি ওষুধের নাম লিখে তাকে তা আনতে পাঠান। দীর্ঘ এক-দেড় ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর সেই ওষুধ নিয়ে তিনি ক্লিনিকে যান। ওই সুযোগে তার মেয়ে ওই চিকিৎসকের লালসার শিকার হয়। এরপর চিকিৎসা শেষে মেয়েকে বাসায় নিয়ে যান। তার অভিযোগ, প্রথমে তার মেয়ে এই ঘটনাটি পরিবারের কাছে গোপন রাখলেও শনিবার খুলে বলার পর তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেন। তবে গ্রেফতারের আগে ওই পল্লী চিকিৎসক অভিযোগের কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ওই মেয়েটি চিকিৎসা নিতে তার বাবার সঙ্গে ক্লিনিকে এসেছিল। তবে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে তার জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই মেয়ের ফুফুর কাছ থেকে তিনি একটি জমি কিনেছিলেন। এরপর থেকেই দ্বন্দ্ব শুরু। দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল গনি সাবু জানান, শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা হলে আমরা বিজয় কৃষ্ণকে গ্রেফতার করি। মেডিকেল প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি। শেরপুরের নকলা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সুবেল মিয়া (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে নকলা থানার পুলিশ সুবেলকে উপজেলার দড়িপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১০ এপ্রিল সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সুবেল মিয়া ছাত্রীটিকে অপহরণ করে। পরে সুবেল মেয়েটিকে উপজেলার একটি বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। কয়েক দিন পর ছাত্রীটি কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সুবেলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। নকলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউনুছ আলী বিশ্বাসের  নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিবার ভোরে সুবেল মিয়াকে  গ্রেফতার করে। সুবেল উপজেলার বাগড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

সর্বশেষ খবর