মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন হেভিওয়েট তারকারা

কলকাতা প্রতিনিধি

লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন হেভিওয়েট তারকারা

ভারতের লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে গতকাল ৯ রাজ্যের ৯১টি আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আছে ৮টি আসন। এদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন হেভিওয়েট তারকারা। সরেজমিন দেখা গেছে, মুম্বাইয়ের জুহুর কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জয়া, পুত্র অভিষেক ও পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই। বান্দ্রার একটি কেন্দ্রে ভোট দেন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, স্ত্রী অঞ্জলি, পুত্র অর্জুন ও কন্যা সারা। তাদের মধ্যে সারা ও অর্জুন উভয়ে এবারই প্রথম ভোট দেন। মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লেতে কন্যা এশা দেওল ও অহনা দেওলকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন বিজেপির সংসদ সদস্য হেমা মালিনী। বান্দ্রাতেই ভোট দেন অভিনেতা সলমান খান। স্ত্রী মান্যতাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। এ ছাড়া বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীর মধ্যে আমির খান, রণবীর সিং, অর্জুন রামপাল, কারিনা কাপুর, বরুণ ধাওয়ান, অনুপম খের, ভাগশ্রী, অজয় দেবগন ও কাজল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বিদ্যা বালান, মাধুরী দীক্ষিত, দীপিকা পাড়ুকোন, অমৃতা রাও, কঙ্গনা রানাউত, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, শাবানা আজমি ও তার স্বামী কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার, পরিচালক মধুর ভা ারকর, সুভাষ ঘাই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটে দাঁড়ানো তারকার মধ্যে ভাগ্য পরীক্ষায় রয়েছেন মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়, বাবুল সুপ্রিয় ও অনুব্রত ম ল। বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বীরভূম, বর্ধমান পূর্ব, আসানসোল ও বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনগুলোয় লড়ছেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়, সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতানেত্রী। পশ্চিমবঙ্গের বাকি ২৪টি আসনের ভোট হবে ৬, ১২ ও ১৯ মে। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২৩ মে।

বুথের ভিতর গুলি : ভোটের সময় পশ্চিমবঙ্গের দুবরাজপুরে পদুমা বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। মোবাইল ফোন জমা নেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। জানা গেছে, কথাকাটাকাটি নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক সদস্য বুথের ভিতরেই ফাঁকা গুলি চালান। তার পরই বুথের ভিতরে চড়াও হন গ্রামবাসী। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যান বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিনি গ্রামবাসীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। শতাব্দী রায়ের অভিযোগ, বুথের ভোটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, চতুর্থ দফা নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার ১৪৬ ও ১৪৭ নম্বর বুথে ব্যাপক ভুয়া ভোট দিচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।

 এ ঘটনা ঘটতে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই। এরপর গ গোল শুরু হয়। এ সময় তৃণমূল কর্মীরা কোদাল-লাঠি নিয়ে বিরোধীদের ওপর চড়াও হন।

মমতার অভিযোগ : নরেন্দ্র মোদির একেকটি নির্বাচনী প্রচারসভায় কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক কেন্দ্রে দলের দুই প্রার্থী শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সভা করার সময় তিনি বলেন, ‘নমিনেশন পেপার দিতে গেলেন মোদিবাবু। কী ঠাটবাট! কত খরচ! একেকটি সভা করতে কত টাকা খরচ হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন হিসাব নিন। রোজ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন প্রধানমন্ত্রী। সিলিং কত? ৭০ লাখ। কত খরচ হচ্ছে? কোটি কোটি টাকা। দেয়াল লেখাতে টাকা, ব্যানার-পোস্টার টাঙাতে টাকা, মিছিলে গেলে টাকা, মিটিংয়ে গেলে টাকা।’

মোদির পদ্মফুল স্বপ্ন : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘২৩ মে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ফুটবে পদ্ম। বাংলার মানুষ এখন পদ্মর দিকে ঝুঁকে আছে। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে।’ তিনি গতকাল বিকালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে এক নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন। মোদি বলেন, ‘এবার মানুষ চুপচাপ পদ্মে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে সাফ করতে চাইছে। বাংলার রসগোল্লা আমার কাছে প্রসাদ। বাংলার মাটি আমার কাছে পুণ্য মাটি।’

সর্বশেষ খবর