শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
রূপকথা নয়

দেহরক্ষীকে রানী বানালেন থাইল্যান্ডের রাজা

প্রতিদিন ডেস্ক

দেহরক্ষীকে রানী বানালেন থাইল্যান্ডের রাজা

নিজের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীর উপপ্রধানকে বিয়ে করে তাকে রানীর মর্যাদা দিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন। রাজা হিসেবে তার আনুষ্ঠানিক অভিষেকের মাত্র তিন দিন আগে গত বুধবার বিয়ে করে তিনি নতুন স্ত্রীকে রানী সুথিদা উপাধি দেন। সূত্র : রয়টার্স।

রাজকীয় এক ফরমানে রাজার নতুন বিয়ের কথা ঘোষণা করা হয়। পরে বুধবার রাতে থাইল্যান্ডের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে রাজকীয় সংবাদের অংশে বিবাহ অনুষ্ঠানের ফুটেজ দেখানো হয়।

৭০ বছর থাইল্যান্ডের সিংহাসনের আসীন থাকার পর ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজ মৃত্যুবরণ করেন। তারপর সাংবিধানিকভাবে রাজা হন তার  ছেলে ভাজিরালংকর্ন। রাজা হয়ে ৬৬ বছর বয়সী ভাজিরালংকর্ন রাজা দশম রামা উপাধি গ্রহণ করেন। আগামী শনিবার সুবিস্তৃত বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাজা হিসেবে মুকুট পরার কথা রয়েছে তার। অভিষেকের পরদিন ব্যাংককের রাজপথে নতুন রাজার  শোভযাত্রা করারও কথা রয়েছে। ভাজিরালংকর্ন ২০১৪ সালে সুথিদা তিদজাইকে তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীতে নিয়োগ দেন। এর আগে তিদজাই থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজপরিবারের কিছু পর্যবেক্ষক ও বিদেশি গণমাধ্যম সুথিদার সঙ্গে রাজার প্রেমের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেও রাজার দফতর তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকার কথা আগে কখনো স্বীকার করেনি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজা ভাজিরালংকর্ন সুথিদাকে রাজকীয় থাই সেনাবাহিনীর পূর্ণ জেনারেল র‌্যাঙ্ক প্রদান করেন। পরের বছর তার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী বাহিনীর  ডেপুটি কমান্ডার করেন। পাশাপাশি সুথিদাকে লেডির সমার্থক রাজকীয় উপাধি থানপুয়িং মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। 

সর্বশেষ খবর