রবিবার, ৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
সেমিনারে প্রতিবেদন

পরিবহন শ্রমিকরা কাজ করেন ১৫ ঘণ্টারও বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইএলও কনভেনশনে দৈনিক ৮ কর্মঘণ্টার কথা নির্ধারিত থাকলেও বাংলাদেশে তা মানা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)। সবচেয়ে বেশি দৈনিক ১৫ ঘণ্টা কাজ করেন পরিবহন শ্রমিক, নিরাপত্তা কর্মী ও রি-রোলিং সেক্টরের শ্রমিকরা। এর পরই রয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকরা। তারা দৈনিক ১৩-১৪ ঘণ্টা কাজ করেন।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আইএলও কনভেনশন-১ এর শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশে কর্মঘণ্টার বর্তমান পরিস্থিতি শীর্ষক সেমিনারে এ প্রতিবেদন তথ্য তুলে ধরা হয়। বিলসের তথ্য বিভাগের উপপরিচালক ইউসুফ আল মামুন বাংলাদেশে কর্মঘণ্টার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান শুক্কুর মাহমুদ। মহান মে দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তাকর্মী, পরিবহন খাত, হোটেল-রেস্তোরাঁ, রি-রোলিং মিল ও হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার- এই ৫টি প্রচলিত বেসরকারি খাতের শ্রমিকদের ওপর বিলস এই প্রতিবেদনে তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানে বিলস-এর মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ আইএলও-এর সদস্য হলেও এত বছরেও আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন করছে না। শ্রম আইন থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নেই।    প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায় শ্রমিকের জন্য শ্রম আইনের সব ধারা পরিপূর্ণ করতে না পারার কথা উল্লেখ করেন। পরিবহন খাতের শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা বিষয়ে বিলস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, দূরপাল্লার পরিবহনে সব শ্রমিকই দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। এর মধ্যে এ খাতের শ্রমিকদের প্রায় অর্ধেকই দৈনিক ১৫ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন। ৪০ শতাংশ শ্রমিক দৈনিক ১৩-১৪ ঘণ্টা কাজ করেন, ২০ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক কোনো কর্মবিরতি ছাড়াই কাজ করেন। ৯০ শতাংশ শ্রমিকের সাপ্তাহিক ছুটি নেই, ৯৮ শতাংশ শ্রমিক সরকারি ছুটির দিনে কাজ করেন। ৮৪ শতাংশ শ্রমিক মে দিবসের দিনেও কাজ করেন।’

সর্বশেষ খবর