বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক

মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকার ডেমরায় সড়ক অবরোধ করেছে পাটকল শ্রমিকরা। অন্যদিকে, টানা ৪র্থ দিনের মতো গতকালও উৎপাদন বন্ধ রেখে খুলনায় আন্দোলন অব্যাহত রাখে শ্রমিকরা। পাটকল শ্রমিকদের অবরোধে গতকাল ভোর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ও চৌরাস্তা হয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লতিফ বাওয়ানী ও করিম জুটমিলসের প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক নিজেদের কারখানার সামনে এবং ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার ও চৌরাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করতে থাকে।  এ বিষয়ে ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নেওয়ায় ডেমরা-রামপুরা সড়ক, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা সড়ক এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সুফিয়া কামাল সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় রামপুরা থেকে ডেমরা হয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জগামী যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকে। তবে বিক্ষোভ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ সময় ওই এলাকায় পুলিশও সতর্ক অবস্থান নেয়।  ২০১৫ সালে ঘোষিত মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিও রয়েছে পাটকল শ্রমিকদের নয় দফার মধ্যে। এসব দাবিতে মঙ্গলবারও যাত্রাবাড়ী মোড় ও ডেমরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে পাটকল শ্রমিকরা। খুলনায় ৪র্থ দিনের মতো আন্দোলন : বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ৯ দফা দাবিতে গতকাল খুলনায় ৪র্থ দিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। কাজে যোগ না দেওয়ায় এসব মিলের উৎপাদন বন্ধ থাকে। বিকাল ৪টা থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ে তিন ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে তারা। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে একই স্থানে অবরোধের পাশাপাশি রাজপথে নামাজ আদায় ও ইফতারি করে শ্রমিকরা।   জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকদের ৮ থেকে ১১ সপ্তাহের মজুরি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। সব মিলিয়ে বকেয়া পাওনার পরিমাণ প্রায় ৬৫ থেকে ৭০ কোটি টাকা। বকেয়া মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছেন। এ কারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধসহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে।

সর্বশেষ খবর