শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

১৬ শতাংশ সুদে বিনিয়োগ হবে না

-শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন

১৬ শতাংশ সুদে বিনিয়োগ হবে না

দেশে ১৬ শতাংশ সুদহারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাস্তবসম্মত বিনিয়োগ সম্ভব হবে না বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেছেন, পরিসংখ্যানগত- ভাবে কাগজপপত্রে যাই থাক, বাস্তবে দেখছি, ব্যাংকগুলোতে ঋণের অনুমোদন হচ্ছে না। দু-একজন ক্রিমিনালের কারণে পুরো ব্যাংক খাত স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ব্যাংকগুলো সুদহার কমানোর নামে লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে বাড়তি সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সুদহার কমেনি। অনেক ব্যাংক ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে। এত সুদ দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। এ কারণে অনেকে ব্যবসায় নতুন করে আসতে চান না। এই পরিস্থিতি ব্যবসার জন্য অনুকূল না। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হলো, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো কদিন পর পর নীতিমালা বদল করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো যদি ঘন ঘন নীতিমালায় পরিবর্তন করে তাহলে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হয় না। বরং নিরুৎসাহিত হন। এটা বিনিয়োগের জন্য বিপদ। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মূল্য ফোরকাস্টিং থাকা উচিত। কারণ আমরা চাই না সরকার ভর্তুকি দিক। আবার ব্যবসায়ীরাও যেন ঋণখেলাপি না হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে উদ্যোক্তারা বিপদে পড়েন। তাদের খরচ বেড়ে যায়। আবার আয়ও কমে যায়। এক সময় ব্যাংকের কাছে ঋণখেলাপি হতে হয়। এই পরিস্থিতি উত্তরণে স্বচ্ছ নীতিমালা প্রয়োজন। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দেশের রপ্তানি খাত এখন সর্বোচ্চ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। আমাদের অর্থনৈতিক জোনগুলোতে বড় বিনিয়োগ আসার আগেই যদি আমরা শুয়ে পড়ি, তাহলে তো বিপদ বাড়বে। এসব বিপদ মোকাবিলায় এখনই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে সরকারকে।

সর্বশেষ খবর