শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিনিয়োগে দরকার আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা

-আবদুল মাতলুব আহমাদ

বিনিয়োগে দরকার আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা

দেশে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা আনতে হবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, সব ব্যবসায়ী খারাপ না। অথচ ভালো ব্যবসায়ীদের ঋণ পেতে অনেক কষ্ট হয়। এই সংকট উত্তরণে আগামী বাজেটে সরকারের কিছু পদক্ষেপ দরকার হবে। দেশের আর্থিক খাতে  বিশৃঙ্খলাকারীদের শাস্তি এখন সময়ের দাবি।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় আইনকানুন বাস্তবায়ন হলে, ব্যাংক খাতে আগামীতে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। এখানে প্রধান সমস্যা হলো, ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট শক্তি থাকার পরও তারা সেটা প্রয়োগ করছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখা উচিত কী কারণে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক তো দেখছে যে, কোনো একটা ব্যাংক অ্যাকশনে যেতে পারছে না। এখানে যে দুর্বলতা রয়েছে, তা খুঁজে বের করে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিকার দিতে হবে। এটাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই কাজ করার শক্তিটা দিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে। ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের শৃঙ্খলার জন্য যতগুলো রুলস-রেগুলেশন (আইনকানুন) আছে, তা যথেষ্ট। এর চেয়ে কম নিয়মকানুন দিয়ে বিশ্বে অনেক ব্যাংক চলছে। আসলে সমস্যাটা হলো- আইনকানুন বাস্তবায়নে। অর্থাৎ আর্থিক খাতে যারা বিশৃঙ্খলা করছে, তারা যাতে আর বিশৃঙ্খলা না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর ঋণ দেওয়ার সময়ে যদি ব্যাংক জানে যে- এই লোক বা কোম্পানি ঋণ ফেরত দেবে না, সেখানে কোনো কারণেই ঋণ দেওয়া উচিত হবে না। সে রাজনৈতিক হোক আর অরাজনৈতিক হোক। যেসব বড় ঋণ, কুঋণে পরিণত হয়ে গেছে, তা নিয়ে সরকারকে একটা ভালো চিন্তাভাবনা করতে হবে।

ব্যাংকে সুদের হার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানি না যে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট বা এক অঙ্কে নামবে কিনা। এ নিয়ে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিলেও ভালো লক্ষণ বা সিঙ্গেল ডিজিটে নামার লক্ষণ আমি দেখছি না। ডলারের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা ও রেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রেও কিছুটা ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আমাদের আমদানি বেড়ে গেছে। অনেক বড় বড় প্রকল্প রয়েছে। আছে অনেক মেঘা প্রকল্প। এ জন্য যে পরিমাণ ডলার প্রয়োজন এবং ডলারের চাপ মোকাবিলায় রপ্তানি ও রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করতে হবে। আবার ডলারের সরবরাহ না বাড়লে মূল্য বেড়ে যাবে। পণ্য আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। ফলে জনগণের কাছে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। ডলারের ওঠা-নামায় খেয়াল রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর