বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা ও খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। ঢাকার ডেমরায় চতুর্থ দিনের মতো গতকাল সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এ সময় রাস্তায় খ খ মিছিল নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিককে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। আজ শুক্রবার সকাল থেকে আবারও তারা সড়ক অবরোধে নামবে বলে জানায় আন্দোলনরত শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়।
এদিকে একই দাবিতে খুলনায় টানা ৫ম দিন ধর্মঘট পালন করে সেখানকার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। গতকাল সকাল থেকে মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যায় তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল ডেমরায় গত দুই দিনের মতো উৎপাদন বন্ধ রেখে সড়কে অবস্থান নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত লতিফ বাওয়ানী ও করিম জুট মিলের শ্রমিকরা। এ সময় তারা ডেমরা-যাত্রাবাড়ী, ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-শিমরাইল সড়ক অবরোধ করে। ডেমরার তিনটি প্রধান সড়কে গাছের গুঁড়ি, ঢালাইয়ের খুঁটি ও ইট পাথর ফেলে ব্যারিকেট দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। শ্রমিকরা রাস্তায় টায়ার, কাঠ-বাঁশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও লাঠি মিছিলও করে। এ ছাড়াও তারা ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার মোড়, ডেমরা চৌরাস্তা ও সুলতানা কামাল ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বসহ কয়েকটি পয়েন্টে লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেয়।খুলনায় টানা ৫ম দিনের ধর্মঘট : গতকাল খুলনায় টানা ৫ম দিনের মতো ধর্মঘট পালন করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা। এদিন বিকাল ৪টা থেকে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ে তিন ঘণ্টা রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হলে আগামী ১৩ মে থেকে টানা ধর্মঘট ও অবরোধ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের নেতারা।
পাটকল শ্রমিক লীগ খুলনা ও যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, বিজেএমসির অব্যবস্থাপনা, মাথাভারী প্রশাসন, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় পাটকলগুলোকে লোকসানে ডুবিয়েছে। মিলের শ্রমিকদের বেতন-মজুরি বকেয়া থাকলেও বিজেএমসির কর্মকর্তারা তাদের বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।