অনলাইনে অর্থের বিনিময়ে নগ্ন ভিডিও চ্যাটিং করায় গোদাগাড়ীর দুই নারীসহ তিনজনের একমাস করে কারাদ- হয়েছে।
নির্বাহী হাকিম গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিমুল আকতার এ দন্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জব্দকৃত দুটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, বিভিন্ন কোম্পানির ৩৫টি সিম কার্ড, ২৫টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ধ্বংস করার নির্দেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই দন্ড দেওয়া হয়। এর আগে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মেডিকেল মোড়ের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন অপারেটরের ৩৫টি সিম ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে ভিডিও কল করতেন। তারা নগ্ন ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন। বিকাশে টাকা দিলে তারা ভাইবার, ইমো, মেসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় ভিডিও সেক্স চ্যাটিং করতেন। এমনকি তারা বিদেশি বিভিন্ন চ্যাটিং সাইটে যুক্ত হয়েও নগ্ন ভিডিও চ্যাটিং করে আসছিলেন। তাদের এ কাজে লোক বাড়াতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিল এই চক্র।পুলিশ জানায়, আটক মেহেদী হাসান এবং ওই দুই নারী সহকারী তিন মাস আগে গোদাগাড়ী পৌরসভার মেডিকেল মোড় এলাকার একটি বাড়িতে দুটি কক্ষ ভাড়া নেয়। বাড়িতে ওঠার পর তারা বাইরে বের হতেন না। আশপাশের মানুষের সঙ্গেও মিশতেন না। সন্দেহ হওয়ায় এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ সেখানে গিয়ে অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং করা অবস্থায় হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলে।