সোমবার, ২০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

রাজস্ব আদায়ে আইনি স্বচ্ছতা চাই

-শেখ ফজলে ফাহিম

রুহুল আমিন রাসেল

রাজস্ব আদায়ে আইনি স্বচ্ছতা চাই

রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আইনি ও পদ্ধতিগত স্বচ্ছতা দেখতে চান এফবিসিসিআইর নতুন সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তার মতে, আইন ও পদ্ধতি সহজীকরণের অনেক সুযোগ আছে। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা ও ভ্যাট সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রণোদনার প্রস্তাবনা অনিয়মের সুযোগ করে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য সহজীকরণ ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে কাজ করবে এফবিসিসিআই। গতকাল মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআইর নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। তার মতে, উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশ একটি ব্র্যান্ড নাম। বিশ্ব বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে- বাংলাদেশ কেন একটি সাফল্যের প্রতীক। আমাদের পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, চামড়াজাত পণ্য এবং সিরামিক শিল্প ব্যাপক সম্ভাবনাময় খাত। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি জনশক্তি কাজ করছে। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে এফবিসিসিআই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের গ্লোবাল ভ্যালু চেইন আরও বিস্তৃত পরিসরে গড়ে তুলতে চাই। নিজের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ রপ্তানি সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে এফবিসিসিআই টেকনিক্যাল ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেনিং (টিভিইটি) গঠন করা হয়েছে। জুডিশিয়ারিতে আমাদের একটি কোম্পানি বেঞ্চ আছে, এফবিসিসিআই এডিআর (অলটারনেট ডিসপিউট রেজ্যুলেশন সেন্টার প্রক্রিয়াধীন)। এর কার্যক্রম শুরু হলে বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে সময় ও খরচ কমবে। নতুন ভ্যাট আইন প্রসঙ্গে শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের নিশ্চিত করেছেন যে, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা সহজীকরণে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না। ভ্যাট ও কর না বেড়ে কর-জিডিপি হার বাড়বে। এটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় যে কোনো প্রতিবন্ধকতা উত্তরণের জন্য এনবিআর এবং এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। কর ও ভ্যাটের পরিধি বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদি চলমান প্রক্রিয়ায় করহার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বাজেটে নিজের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের বিশ্বাস ব্যবসা সহজীকরণ, আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ, মূল্যস্ফীতিকে মাথায় রেখে কস্ট অব ক্যাপিটালকে বাস্তবসম্মত জায়গায় আনা, শিল্পনীতি, কর, ভ্যাট, ব্যবসার অন্যান্য খরচ কমিয়ে আরও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার মতে, সরকারি শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রগ্রেসিভ নেতৃত্বের যে সেবা প্রদানের মানসিকতা, তা মাঠপর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। এখানে সমন্বয় প্রচেষ্টা আরও সুসংহত করার সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব প্রসঙ্গে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, বিগত ১০ বছরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) একটি নতুনমাত্রা পেয়েছে। রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জাতীয় অর্থনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক আলোচনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ফলে অনেক সমস্যার দ্রুত সমাধানও আমরা পেয়ে থাকি। তারপরও কাঠামোগত কিছু সীমাবদ্ধতা উদীয়মান অর্থনীতির একটি বাস্তবতা।

সর্বশেষ খবর