একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির জন্য নির্ধারিত একমাত্র সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে যাচ্ছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। গতকাল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ বাছাই এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য ২৮ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া আছে। ভোটের তারিখ ১৬ জুন। কিন্তু সংরক্ষিত নারী আসনের ক্ষেত্রে একটি আসনে একক প্রার্থী থাকেন বলে ভোটের আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন শেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয় প্রার্থীকে। ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি দেখেন সব কাগজ ঠিক আছে, তবে গেজেট প্রকাশ করা হবে।’ একাদশ সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, জাতীয় পার্টির চারজন, ওয়ার্কার্স পার্টির একজন এবং স্বতন্ত্র জোটের একজন রয়েছেন। বিএনপির নির্বাচিতরা আগে শপথ না নেওয়ায় তাদের জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসন স্থগিত ছিল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া অন্যরা একেবারে শেষ সময়ে শপথ নিলে তাদের জন্য নির্ধারিত একটি নারী আসনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। রাজনীতিবিদ অলি আহাদের মেয়ে রুমিন ফারহানা গত কয়েক বছর ধরেই বিএনপির কর্মকান্ডে বেশ সক্রিয়। পাশাপাশি টেলিভিশনে বিভিন্ন টক শোতেও তাকে নিয়মিত দেখা যায়। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সংসদে গিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু মুক্তির জন্য কথা বলব। দেশ, জনগণের জন্য কথা বলব।’ সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করতে আমি সচেষ্ট থাকব।’ আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে শেরেবাংলানগরে গিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন বলে জানান রুমিন ফারহানা। নির্বাচন কমিশনে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে রুমিন ফারহানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলের হাইকমান্ড যাকে ভালো মনে করেছে তাকেই মনোনয়ন দিয়েছে। আমাদের সবার লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন। তা হচ্ছে দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ভিত্তিহীন মামলায় আজ কারাগারে। গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করা, সব ষড়যন্ত্র ভেঙে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসার পরিবেশ সৃষ্টি করা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে জনগণের অধিকার আদায় করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
