জাতীয় চিড়িয়াখানাকে আরও বিনোদনমুখর করতে ঈদের আগেই আনা হচ্ছে ৪ প্রজাতির ১১ প্রাণী। এর মধ্যে রয়েছে এক জোড়া বাঘ, এক জোড়া চিতাবাঘ, তিনটি ক্যাঙ্গারু ও চারটি ইমপালা। এসব প্রাণীর বসবাস দক্ষিণ আফ্রিকায়। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এসব প্রাণী কেনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এসব প্রাণী ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। গতকাল জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নতুন প্রাণী আনার জন্য নতুন কোনো প্রকল্প নেই। সাধারণ বাজেট থেকে নতুন ১১টি প্রাণী আনা হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রাণীগুলোকে বিমানে করে দেশে আনা হবে।’ এ ছাড়া দুবাই থেকে এক জোড়া শিম্পাঞ্জি ও ভারত থেকে এক জোড়া সাদা বাঘ আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
চিড়িয়াখানা সূত্র জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এ প্রাণীগুলো আনতে মোট খরচ হচ্ছে ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪টি বাঘ আনতে খরচ হচ্ছে ৮০ লাখ টাকা, এক জোড়া চিতা ৬০ লাখ, তিনটি ক্যাঙ্গারু ৩৩ লাখ ও এক জোড়া ইমপালা আনতে খরচ হচ্ছে ৮ লাখ টাকা। এ প্রাণীগুলোর প্রজননের পরিকল্পনাও রয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এ ছাড়া আরও জানা যায়, চিড়িয়াখানাকে নতুনভাবে সাজাতে ও দর্শনার্থীদের কাক্সিক্ষত বিনোদন দিতে বাঘ, চিতাবাঘ, লাল রঙের তিন ক্যাঙ্গারু ও হরিণ প্রজাতির দ্রুতগতির ইমপালা আনা হচ্ছে। এদের গড় বয়স দেড় থেকে তিন বছর। ইতিমধ্যে চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথিদের রাখার শেড প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৮৬ একর জায়গা নিয়ে গঠিত মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ১৯৭৪ সাল থেকে চিড়িয়াখানায় প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে হাজারো দর্শনার্থী আসেন। চিড়িয়াখানায় রয়েছে মাংসাশী ৮ প্রজাতির ৩৮টি প্রাণী, ১৯ প্রজাতির বৃহৎ প্রাণী (তৃণভোজী) ২৭১টি, ১৮ প্রজাতির ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী ১৯৮টি প্রাণী। এ ছাড়া রয়েছে ১০ প্রজাতির সরীসৃপ ৭২টি, ৫৬ প্রজাতির ১ হাজার ১৬২টি পাখি।