বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

স্বস্তি-বৈচিত্র্য দুই-ই খুঁজছেন ক্রেতা

ঈদ কেনাকাটা

জিন্নাতুন নূর

স্বস্তি-বৈচিত্র্য দুই-ই খুঁজছেন ক্রেতা

জ্যৈষ্ঠ মাসে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে যাচ্ছে। পোশাকটি উৎসবের হলেও এটি আরামদায়ক হতে হবে। তপ্ত আবহাওয়া আর কড়া রোদের মধ্যে এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না, যাতে অস্বস্তি হয়। এ জন্য ঈদের কেনাকাটায় এবার ক্রেতারা স্বস্তিদায়ক আর পাতলা কাপড়ের তৈরি পোশাক ক্রয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন। একই সঙ্গে উৎসবের আমেজ বজায় রাখতে তরুণ-তরুণীরা পোশাকে বৈচিত্র্যও খুঁজছেন। অর্থাৎ ঈদের পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পোশাকে স্বস্তি ও বৈচিত্র্য এই দুই বিষয়ের ওপর এবার জোর দিচ্ছেন। বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে লক্ষ্য করা যায়, ঈদে মেয়েদের বৈচিত্র্যময় পোশাকের ক্ষেত্রে এবার লম্বা গাউন, কটিসহ কামিজের চাহিদা ভালো। আর ছেলেদের জন্য লম্বা কটিসহ পাঞ্জাবি এবং পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোর বৈচিত্র্যময় নকশা নজর কাড়ছে। মিরপুর-১২ নম্বরে আড়ংয়ের শোরুমে এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। আড়ংয়ে মেয়েদের সালোয়ার-কামিজ, তাগা এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি সেকশনগুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের বেশির ভাগেরই ঝোঁক সুতির তৈরি আরামদায়ক পোশাকের দিকে। হালকা রঙের পোশাকগুলোতে উৎসবের আমেজ রাখতে কাটিং ও নকশায় বৈচিত্র্য এনেছে আড়ং। তবে সুতি ছাড়াও ঈদের জন্য পাতলা জর্জেট ও সিল্কের তৈরি পোশাকও এনেছে এই ফ্যাশন হাউসটি। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ‘দেশি দশ’-এর বুটিক হাউসগুলোর প্রায় সবকটিই তাদের ঈদের পোশাকে আরামদায়ক কাপড়ের ব্যবহার করেছে। এ জন্য এখানে ক্রেতার সমাগমও তুলনামূলক বেশি। ফ্যাশন হাউস দেশালে মেয়েদের ফতুয়া, সালোয়ার-কামিজ ও শাড়িতে উজ্জ্বল ও হালকা রঙের সুতি কাপড়ের ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে ছেলেদের একরঙা ও প্রিন্টের পাঞ্জাবিতেও সুতির ব্যবহার লক্ষণীয়। ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে তরুণ-তরুণীদের প্রিয় ব্র্যান্ড লা-রিভ তাদের তৈরি করা পোশাকে ক্রেতার স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। ঈদের জন্য মেয়েদের ফতুয়া ও টিউনিকে লিলেন, সুতি, জর্জেট ও পাতলা সিল্ক কাপড় ব্যবহার করেছে লা-রিভ। আর সালোয়ার-কামিজেও সুতি, জর্জেট, সিল্কের ব্যবহার হয়েছে। কামিজের হাতায় এবারও ব্যতিক্রমী কাট এবং কামিজের ওপর কটির ব্যবহার লক্ষণীয়। আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে এবারও উজ্জ্বল রঙের ভেজিটেবল ডাইয়ের ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে পার্টি পাঞ্জাবিগুলোতে আরামদায়ক কাপড়ের ওপর ভারি কাজ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লা-রিভে গতকাল কলেজপড়–য়া মেয়ে সপ্তর্ষীকে নিয়ে পোশাক কিনতে এসেছিলেন স্কুলশিক্ষিকা স্নিগ্ধা আক্তার। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে স্নিগ্ধা বলেন, গরমের উপযোগী সুতির একটি লং কামিজ কিনে দিয়েছেন মেয়েকে। এর সঙ্গে মিলিয়ে পালাজ্জো কিনে দেবেন। যমুনা ফিউচার পার্কের মিথ নামক ব্র্যান্ডের দোকানে পোশাক দেখছিলেন কয়েকজন ক্রেতা। তাদেরই একজন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত আনোয়ারুল হক নিজের জন্য শার্ট দেখছিলেন।

 তিনি জানান, ঈদের পর বন্ধুদের নিয়ে পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন। গরমে যাতে কষ্ট না হয় এ জন্য সুতির কিছু হাফ হাতা শার্ট দেখছিলেন। গরমের কারণে ছোটদের পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রেও আরামদায়ক পোশাক কিনছেন অভিভাবকরা। বেবি শপ, আড়ংসহ বেশ কয়েকটি বুটিক ও ব্র্যান্ডের দোকান থেকে অনেক মা-বাবাকে তাদের সন্তানের জন্য পোশাক কিনতে দেখা যায়। সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট, প্যান্ট, স্কার্ট ও ফ্রকগুলো বেশির ভাগই ছিল সুতি, জর্জেট ও লিলেন কাপড়ের তৈরি।

সর্বশেষ খবর