শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বাদামের ব্যাপক আবাদ পঞ্চগড়ে

সরকার হায়দার

বাদামের ব্যাপক আবাদ পঞ্চগড়ে

পঞ্চগড়ে এবার বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। চাষিরা আশা করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন পাবেন তারা। ধানের দাম নিয়ে যখন হাহাকার চলছে তখন পঞ্চগড়ের চাষিরা বাদাম নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন অন্যান্যবারের তুলনায় এবার কয়েকগুণ বেশি বাদামের আবাদ হয়েছে। অন্যান্য আবাদের তুলনায় খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ার কারণে বাদামের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সব উপজেলায়ই কমবেশি বাদামের আবাদ হলেও করতোয়া বিধৌত দেবীগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে তারা প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৫ মণ বাদাম ঘরে তুলবেন। চাষিরা গত বছর প্রতি মণ বাদাম ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এবারও সেই দাম পেলে প্রতি বিঘায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা পাবেন তারা। খরচ বাদ দিলে প্রতি বিঘায় লাভ হবে প্রায় ২৪ হাজার টাকা। গতবার থেকে দাম কম হলেও লোকসান হচ্ছে না কৃষকের। তাই অন্য আবাদের চেয়ে বাদামের দিকেই ঝুঁকছেন চাষিরা। এদিকে বাদামের ব্যবসা করে ভালো লাভ করছেন স্থানীয় বাদাম ব্যবসায়ীরাও। তারা বলছেন পঞ্চগড়ের বাদামের মান ভালো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানির পাশাপাশি বিদেশেও এর চাহিদা বাড়ছে। এ অঞ্চলে রবি ও খরিফ এই দুই মৌসুমে বাদাম চাষ হয়। খরিফ মৌসুমে উৎপাদিত বাদাম বীজের জন্য ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এই দুই মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষ করে অধিকাংশ কৃষকই দেখছেন সাফল্যের মুখ। তাই বাদাম চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এই অঞ্চলের চাষিদের। এদিকে চিনাবাদামকে কেন্দ্র করে দেবীগঞ্জে গড়ে উঠছে ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানা। ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানায় বাদামের প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে। এসব কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর