বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

সাফারি পার্কে নতুন অতিথি সাত ময়ূর ছানা

মোস্তফা কাজল

সাফারি পার্কে নতুন অতিথি সাত ময়ূর ছানা

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ফুটেছে ৭টি ময়ূর ছানা। এর মধ্যে ছয়টি প্রাকৃতিকভাবে এবং একটি কৃত্রিম প্রজনন যন্ত্রে। ছানাগুলো এখন সুস্থ আছে। গতকাল সকালে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তা দেওয়া ৯টি ডিমের মধ্য থেকে ৬টি ডিমের ছানা ফুটেছে। বাকি ৩ ডিম নষ্ট হয়ে গেছে।

গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং বন্যপ্রাণী গবেষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, প্রায় ২৭-২৮ দিন আগে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ৯টি ডিম নিয়ে মা ময়ূরটি তা দিতে বসেছিল। গতকাল সকালে ৬টি ছানা প্রস্ফুটিত হয়। সদ্য জন্ম নেওয়া প্রতিটি ছানা সুস্থ আছে। মায়ের সঙ্গে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করছে।  তিনি আরও বলেন, গত ২৬ এপ্রিল ৩০টি ময়ূরের ডিম ইনকিউবেটরে (কৃত্রিম প্রজনন যন্ত্র) রাখা হয়েছিল। ডিমগুলো থেকে গত সোমবার মাত্র একটি ময়ূর ছানা ফুটেছে। ইনকিউবেটরের সাফল্যের হার প্রায় ৪০ শতাংশ। তবে বাকিগুলোও পরদিন ফোটে।  এ সাফারি পার্কে মোট ৮৪টি ময়ূর ছিল। সরকারিভাবে ১৩টি ময়ূর ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দিয়ে দেওয়া হয়। অবশিষ্টগুলোর সঙ্গে নতুন ৭টি ছানা যোগ হয়ে এখন ৭৮টি হলো বলে জানান তবিবুর রহমান। ময়ূর পাখি প্রজাতির বড় আকৃতির সুন্দর পাখি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে এক সময় ময়ূর পাওয়া গেলেও বর্তমানে এ প্রাণীটি বিলুপ্ত। ভারতীয় উপমহাদেশে ‘নীল ময়ূর’ এবং ‘সবুজ ময়ূর’ নামে দুই প্রজাতির ময়ূর পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, স্ত্রী ময়ূরের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পুরুষ ময়ূর অপূর্ব পেখম মেলে তার দৈহিক সৌন্দর্যের জানান দিয়ে থাকে।

সর্বশেষ খবর