বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সুন্দরবন ও কুমিল্লায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬

প্রতিদিন ডেস্ক

দুই স্থানে বন্দুকযুদ্ধে গতকাল ৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাগেরহাটের সুন্দরবনে র‌্যাবের হাতে ৪ বনদস্যু এবং কুমিল্লায় বিজিবির হাতে ২ মাদক ব্যবসায়ী। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বাগেরহাট : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের মরাপশুর এলাকার জোংড়া খালে র‌্যাব ৮-এর বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত বনদস্যু ‘হাসান বাহিনী’ প্রধান হাসানসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় বনদস্যুদের ব্যবহৃত ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব-৮ এর কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনে বনদস্যুদের আনাগোনা আবারও বেড়ে যাওয়ায় র‌্যাবের একটি দল মঙ্গলবার রাতে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ এই বনে অভিযানে নামে। র‌্যাবের আভিযানিক দলটি মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মরাপশুর এলাকার জোংড়া খালে পৌঁছালে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে বনদস্যুরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে শুরু হয়ে যায় বন্দুকযুদ্ধ। থেমে-থেমে প্রায় আধা ঘণ্টা সময় ধরে চলা বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটে সুন্দরবনের গহিন অরণ্যে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বনদস্যুদের ৪টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে আশপাশের বনজীবীরা এসে মৃতদেহ ৪টি বনদস্যু হাসান বাহিনীর বলে জানান। এর মধ্যে একটি মৃতদেহ বনদস্যু হাসান বাহিনীর প্রধান হাসান বলে শনাক্ত করেন। এ সময় সেখান থেকে বনদস্যুদের ব্যবহৃত ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েক রাউন্ড তাজা গুলি, গুলির খোসা ও বনদস্যুদের ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়। তবে বাহিনী প্রধান হাসান ছাড়া অন্য বনদস্যুদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। কুমিল্লা : কুমিল্লার সীমান্তবর্তী নাটাপাড়ায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এদিকে একই রাতে বৌয়ারা বাজার সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অপর দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সীমান্তবর্তী নাটাপাড়ায় এবং কুমিল্লার সদর উপজেলার বৌয়ারা বাজার সীমান্তে পৃথক দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত দুই মাদক ব্যবসায়ী রুবেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং  সেলিম (৩৬) প্রকাশ সলিম একই উপজেলার শালুকিয়া (আদর্শগ্রাম) গ্রামের আলী আহাম্মদের ছেলে। কুমিল্লার ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, নিহত রুবেল ও সেলিম বিজিবি ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। গভীর রাতে চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার নাটাপাড়া এলাকায় রুবেল ও সেলিমসহ তাদের সহযোগীরা অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে বিজিবি সেখানে অভিযান চালায়। মাদক ব্যবসায়ীরা ওই স্থানে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। বিজিবিও পাল্টা গুলি চালালে রুবেল ও সেলিম নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। আহত মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে  চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ১৫৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা হয়েছে। কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরও জানান, এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা সদর উপজেলার বৌয়ারা বাজার সীমান্তের মান্দারি কবরস্থানের কাছে বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো- নারায়ণগঞ্জে ঝাউলচর গ্রামের বকুল ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার আবদুল করিম।

সর্বশেষ খবর