শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

দণ্ডিত ফজল, কারাগারে সজল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বড় ভাই ফজলকে গ্রেফতারের পরোয়ানায় পুলিশ ছোট ভাই সজলকে পাকড়াও করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এক মাস ধরে জেল খাটছেন সজল মিয়া (৩৪)। গত ২৯ এপ্রিল সজলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। সেদিন সজলের আইনজীবী আদালতে পুলিশের এ ভুল তুলে     ধরেন। ওইদিন তথ্য প্রমাণ দিতে না পারায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। অবশেষে ২৬ মে সজল তার আইনজীবীর মাধ্যমে ‘তিনি যে ফজল নন, সজল’- সেই তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে নিজের মুক্তি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। সজল মিয়ার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম তোফাজ উদ্দিন। সজলের বড় ভাই সেলিম ওরফে ফজল। তার নামে রাজশাহীর আদালতে ২০০১ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়ে লাপাত্তা হন ফজল। তার অনুপস্থিতিতেই ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট মামলার রায় হয়। ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় ফজলের। সেদিন খালাস পান ওই মামলার অন্য চার আসামি। সেলিম ওরফে ফজলকে ধরতে গত ৩০ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে সজলের বাড়িতে অভিযান চালায় নগরীর শাহ মখদুম থানা পুলিশ। সেদিন সজলকে গ্রেফতার করে সেলিম নাম দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের দাবি, তারা সঠিক আসামিকেই চিনেছেন। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নামই সেলিম এবং তিনিই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তবে সজলের পক্ষ থেকে আদালতে মুক্তি চেয়ে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে যে আবেদন করা হয়েছে, তাতে সজলের চার ভাই এবং চার বোনেরও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেগুলো সত্যায়িত করে দিয়েছেন। এ ছাড়া সজলের জমি খারিজের ডিসিআর, জমির দলিলসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। সজল এবং তার ভাই সেলিম ওরফে ফজলের ছবি সংবলিত এবং স্ট্যাম্পের কপিও দাখিল করা হয়েছে। সজলের আইনজীবী মোহন কুমার সাহা বলেন, অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছেন। পুলিশ হয়তো ভুল করে নয়তো প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নির্দোষ সজলকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বিষয়টি আদালতকে জানিয়ে তার মুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক আগামী ১১ জুন সজলকে আদালতে হাজির করে শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।

সর্বশেষ খবর