শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাবি ছাত্রলীগের ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২৫১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের প্রায় এক বছরের মাথায় এই কমিটি ঘোষণা করা হলো। ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ৫১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং অন্যান্য সম্পাদকীয় পদে ৩০ জন রয়েছেন। এছাড়াও উপ-সম্পাদক পদে ৯৬ জন, সহ-সম্পাদক পদে ৩৪ জন এবং সদস্য পদে ১৬ জন স্থান পেয়েছেন। এর আগে, গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের পর কমিটি ঘোষণার নিয়ম থাকলেও শীর্ষ পদের নেতৃত্ব বাছাইয়ে সময় নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। একই দিন ঘোষণা করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম।

রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান অব্যাহত পদবঞ্চিতদের : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ‘বিতর্কিত’দের বহিষ্কারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচির চতুর্থ দিন পেরিয়ে গেলে দাবিদাওয়া নিয়ে কেউ কথা বলতে আসেনি বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন পদবঞ্চিতরা। এমনকি আসন্ন ঈদুল ফিতরও সেখানেই উদযাপন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তারা। রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা একটি অস্থায়ী ছাউনির নিচে মাদুর পেতে শুয়ে-বসে রয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ কিছুক্ষণের জন্য অবস্থান করে আবার চলে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া ‘বিতর্কিত’দের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণে গত সোমবার ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণার পর ওই দিন মধ্যরাত থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর আগে ছাত্রলীগের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির ৯৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতার তালিকা প্রকাশ করেন পদবঞ্চিত অংশ। তবে মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৯ জন ‘বিতর্কিত’ নেতাকে বাদ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে কমিটি থেকে বাদ পড়া ওই সব পদ বা পদধারী কারোরই নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই ঘটনা প্রহসন আখ্যা দিয়ে তাদের নাম প্রকাশের দাবি জানান পদবঞ্চিতরা। পদবঞ্চিত অংশের নেতা ছাত্রলীগের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ১৯ জনের পদ শূন্যের ঘোষণা থেকেই প্রমাণ হয়েছে আমাদের দাবি যৌক্তিক ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসেনি। আমাদের দাবি স্পষ্ট, ছাত্রলীগের কমিটি থেকে শুধু ১৯ জন নয়, সব ‘বিতর্কিত’কে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে যাব না।’

সর্বশেষ খবর