মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

শেষ হয় না অপেক্ষার প্রহর

তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শেষ হয় না অপেক্ষার প্রহর

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনের তিন বছর পরও রহস্যজট খোলেনি। মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের দাবি, ‘আত্মগোপনে’ থাকা খুনের মাস্টারমাইন্ড কামরুল ইসলাম ওরফে মুছা সিকদারে আটকে আছে এ খুনের রহস্য। তাই এখন তাদের অপেক্ষা মুছার। তবে মুছার পবিবারের দাবি, পুলিশের কাছেই রয়েছে মুছা। আর নিহত মিতুর পরিবারও রয়েছে এ মামলার চার্জশিটের অপেক্ষায়।

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন এ খুনের তদন্ত নিয়ে পুলিশের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তার অভিযোগ, বাবুল আকতারকে রক্ষা করতেই কাজ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে একবারও যোগাযোগ করেননি। তদন্ত কর্মকর্তার আচরণে মনে হচ্ছে, তিনি বাবুল আকতারকে রক্ষা করার জন্য কাজ করছেন। তাই আমরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি করছি।’ তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার কোনো বিষয় এখন পুলিশের কাছে অজানা নয়। আমরা চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হোক।’

মিতু খুনের পরপর সারা দেশের প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। খুনের এক মাসের মধ্যেই গ্রেফতার হয় কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া সাতজন। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন খুনে সরাসরি অংশগ্রহণকারী রাশেদ ও নবী। এরপর একটি বিন্দুতে স্থির রয়েছে এ খুনের তদন্ত। তখন থেকে পুলিশ দাবি করে আসছে, এ মামলার রহস্য মুছা ও কালুতে লুকিয়ে আছে। এ অজুহাতে তিন বছর পার করেছে পুলিশ। ‘আত্মগোপনে’ থাকা মুছার স্ত্রী পান্না আকতার বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ মুছাকে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা চাই মুছাকে প্রকাশ্যে এনে প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার করা হোক।’ মিতু ও মুছার পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘এখন মুছা এবং কালুতেই আটকে আছে এ ঘটনার তদন্ত। তাদের পাওয়া গেলে এ ঘটনার বিষয়ে সব পরিষ্কার হয়ে আসবে। তাই আমরা মুছা ও কালুকে গ্রেফতার করার অপেক্ষায় আছি।’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনার পর বাবুল আকতার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার কয়েক মাস পর থেকে এ ঘটনার জন্য বাবুল আকতারকে দায়ী করে আসছে মিতুর পরিবার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর