শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

এ কে আজাদ

সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে

দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার স্বার্থে সব খাতে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেছেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাতিল করে বাংলাদেশ ব্যাংককে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। বিনিয়োগের জন্য গুচ্ছ প্রণোদনা দিতে হবে। করপোরেট কর কমাতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে, তা বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে। সুদের হার কমিয়ে সিঙ্গেল ডিজিটে আনতে হবে। এটা ব্যাংকগুলো ঘোষণা দিয়েও করতে পারেনি। ব্যাংকগুলোতে এখন তারল্য সংকট রয়েছে। তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে দ্রুত ওয়ান স্টপ সেবা চালু করতে হবে। শিল্পের পাশাপাশি কৃষি খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। সরকারকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আরও আস্থা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছিলেন। এক্ষেত্রে খেলাপি ঋণ বন্ধে সুশাসন নিশ্চিত করা এখন সবার দাবি। অনাদায়ী টাকা আদায় ও ঋণখেলাপিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পোশাকশিল্পের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়া শুরু হওয়ার পর বিনিয়োগ বাড়ছে। বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর জন্য গুচ্ছ প্রণোদনা দিতে হবে। চীন তাদের শিল্পে ভর্তুকি দিয়ে এ পর্যায়ে এসেছে। আমরাও বিনিয়োগে প্রণোদনা দিলে শিল্প বিকশিত হবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার সংসদ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিতে বলেছিলেন, আবার ক্ষমতায় এলে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করবেন। এর এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে। বাকি ৫০ লাখ হবে অন্যান্য খাতে। প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী এই চিন্তার ফসল হিসেবে সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো নিশ্চিত করতে এবারের বাজেটে কিছু পদক্ষেপ দেখতে চাই। এ কে আজাদ বলেন, সরকারকে কুন্ডঋণ বন্ধ এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে নজর দিতে হবে। ঋণখেলাপিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এর ফলে নতুন করে কেউ ঋণখেলাপি হতে উৎসাহিত হবেন না। তার মতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক ও রাজস্ব খাত এবং ভ্যাট ব্যবস্থার সংস্কার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি, সেগুলোর কাজ চলতি বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। 

সর্বশেষ খবর