ঋণখেলাপির ক্যান্সার থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে ব্যাংকিং খাত সঠিক পথে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত ঠিক না থাকলে অর্থনীতির মেরুদ ভেঙে পড়বে। এখন আর্থিক খাতের বড় চ্যালেঞ্জ ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা। ব্যাংকে টাকা দেখতে হলে খেলাপি ঋণের দ্রুত সমাধান করতে হবে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যাংকের সুদহার কমাতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল খেলাপি ঋণ কমাতে যে সমাধান দিয়েছেন, সেখানে আপত্তি তুলেছে আদালত। এখন খেলাপি ঋণ কমাতে নতুন কৌশল নিতে হবে। নিটল-নিলয় গ্রুপের এই চেয়ারম্যান বলেন, যেসব ব্যবসায়ী ঋণখেলাপি হন, তারা অন্য ব্যাংকে ব্যবসা করতে পারেন না। এক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের আসল অর্থ ফেরত নিয়ে সুদ মওকুফ করতে হবে। আবার যে সুদ মওকুফ করা হবে, সেটা ব্যাংকের ক্ষতি হিসেবে দেখানো যাবে না। এটা করতে পারলে ব্যাংকগুলো ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে লাভজনক হবে। ব্যাংকের ঋণখেলাপির ক্যান্সার থেকে দেশবাসী মুক্তি পাবেন। আবদুল মাতলুব আহমাদ মনে করেন, ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণ ধরে রাখতে চায়। কারণ, এটা ধরে না রাখলে ব্যাংকগুলোর লোকসান হয়। ব্যাংক ডিভিডেন্ড দিতে পারে না। এক্ষেত্রে নীতিমালায় পরিবর্তন এনে ব্যাংকগুলোকে ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষমতা দিতে হবে। তাহলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমবে। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে আইনকানুন বাস্তবায়ন হলে আগামীতে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না। ব্যাংকগুলোর যথেষ্ট শক্তি থাকার পরও প্রয়োগ করতে পারছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের দেখা উচিত কী কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো তাদের শক্তি প্রয়োগ করতে পারছে না। আবার বাংলাদেশ ব্যাংককে এ কাজ করার শক্তিটা দিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকেও। আর্থিক খাতে যারা বিশৃঙ্খলা করছে তারা যাতে আর বিশৃঙ্খলা না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব বড় ঋণ কুন্ডঋণে পরিণত হয়েছে, তা নিয়ে সরকারকে একটা ভালো সিদ্ধান্তে আসতে হবে।