চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৭ মামলার আসামি অমিত মুহুরীর খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন নাথ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের আগের অবস্থানে অনড় রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত রিপনকে হেফাজতে এনে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু রিপন গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আজিজ আহমেদ বলেন, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানায়, ঘটনার দিন বিকালে অমিত মুহুরী ও রিপনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রাতে রিপন তাকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি ভিতরের তথ্য বের করে আনতে। কিন্তু রিপন কোনোভাবেই মুখ খুলছে না। সে বার বারই আগের অবস্থানের পক্ষে নানান যুক্তি দিচ্ছে।’ মামলা তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের অন্যতম দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন ছিলেন নিহত অমিত মুহুরী। মামলার তদন্তে রিপনের মতো একজন ‘সাধারণ অপরাধী’র পক্ষে অমিতের মতো একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে মারা সম্ভব কি না- তাও চিন্তা করা হচ্ছে। ফলে কারাগারের কর্মকর্তা, কারারক্ষী, কারাবন্দী এবং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে রিপনের দেওয়া তথ্য মিলানো হচ্ছে। এ ছাড়া খুনের পেছনে কোনো হোতা রয়েছে কি না, খুনের জন্য কেউ অর্থ জোগান দিয়েছে কি না- তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে খুন হন রেলের দরপত্র নিয়ে জোড়া খুনসহ অন্তত ১৭টি মামলার আসামি অমিত মুহুরী। এ ঘটনায় কারাগারের জেলার নাশির আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। যাতে আসামি করা হয় রিপন নাথকে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। নিহত অমিত মুহুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা অসংখ্যা অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইমরানুল করিম ইমনকে খুন করে গ্রেফতার হন অমিত। তারপর থেকেই অমিত কারাগারে ছিলেন।