শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি

গাইবান্ধায় মাল্টা চাষে সাফল্য

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় মাল্টা চাষে সাফল্য

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পুটিমারী গ্রামের কৃষক আমির হোসেন বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার প্রায় দুই বিঘা জমিতে গাছে গাছে এখন ঝুলছে হাজার হাজার মাল্টা।

আমির হোসেন জানান, গত বছর জুনে পিরোজপুর জেলার রেবতী সরকারের কাছ থেকে মাল্টা বারি-১ জাতের ২২০টি চারা সংগ্রহ করেন তিনি। প্রতিটি চারা ৩৭০ টাকা দামে কিনে আনেন। নিজের ৫৬ শতাংশ জমিতে এই চারা রোপণ করে পরিচর্যা করে আসছেন। গত ১ বছরে চারা ক্রয়সহ এ পর্যন্ত লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে তার। প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টি করে মাল্টার ফলন হয়েছে। অক্টোবর মাসে মাল্টা পাকতে শুরু করবে। প্রথম বছরেই ১০ মণ মাল্টা বিক্রি করে ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় হবে বলে আশা করছেন তিনি। এই গাছগুলো ১৭-১৮ বছর ধরে ফলন দেবে। একটি মাল্টা গাছ থেকে অন্য গাছের মাঝের ফাঁকা জায়গায় পেঁপে, আদা ও কচু গাছ লাগিয়েছেন এবং চারদিকের বেড়ায় ঝিঙ্গার মতো লতানো গাছ লাগিয়েছেন। সাথী ফসল হিসেবে এগুলো বিক্রি করে মাল্টা চারার দামের বেশির ভাগ টাকা তুলতে পেরেছেন তিনি। তিনি বলেন, জমির বেলে মাটিতে মাল্টা চাষে জৈব ও কম্পোস্ট সার ব্যবহার করেছি। সামান্য পরিমাণে রাসায়নিক সার পটাশ ও টিএসপি প্রয়োগ করতে হয়েছে। কীটনাশক হিসেবে নিজের উদ্ভাবিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে ফল পেয়েছি। মরিচ গুঁড়া, বিশকাঠালি, গরুর মূত্র, কেরোসিন তেল ও ন্যাপথলিন মিশিয়ে এই কীটনাশক তিনি বাড়িতেই তৈরি করেছেন বলে জানান। মাল্টা চাষে আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে আমির হোসেন বলেন, এখন আমার ৪৭ বছর বয়স। আর বেশি দিন হয়তো পরিশ্রম করতে পারব না। ধান চাষ করে কয়েক বছর ধরে লাভ করতে পারছি না। তাই সবজি ও ফল চাষে নেমে পড়েছি। এতে লাভও থাকে, পরিশ্রমও কম। মাল্টাগুলো ১৭-১৮ বছর ধরে ফলন দেবে।

সাঘাটা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুল বলেন, আমির আলী একজন পরিশ্রমী কৃষক। তার মাল্টা চাষে বেশ ভালো ফল পাওয়া গেছে। তার বাগান দেখে এলাকার অন্য কৃষকরা মাল্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর