শনিবার, ৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

বনটিয়া

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বনটিয়া

বনটিয়া একটি সবুজ ছোট পাখি। দেখতেও সুন্দর। গাছের সবুজ পাতার মধ্যে সবুজ পাখি মিলিয়ে যায়। বিভিন্ন চিরসবুজ এবং পত্র পতনশীল বৃক্ষ সমৃদ্ধ ছোট ছোট বন ও গৃহস্থের ফলের বাগানে দেখা যায়। দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সামনে মেহগনি গাছে নতুন বাসা বেঁধেছে এই ‘বনটিয়া’। এছাড়াও কলেজের পিছনের বাগানেও দেখা যায় এই বনটিয়া। এখন চলছে তাদের বাসা তৈরির মওসুম।

তবে বনটিয়া সর্বত্র দেখা মিললেও আগের মতো আর বেশি দেখা যায় না। কারণ হিসেবে  কেউ কেউ বলছেন, বড় বড় জাতের গাছ, বনজঙ্গল কমে যাওয়ায় তাদের নিরাপদ আবাস কমে গেছে। তাই তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ-প্রকৃতি থেকে আজ তারা হারিয়ে যাচ্ছে। পাখিটির আঞ্চলিক নাম বনটিয়া, বৈজ্ঞানিক নাম- Psittacula arameri. আবার বিজ্ঞানের ভাষায় একে Green leaf bird বলা হয়। সাধারণত পাতার মতো সবুজ রঙের ছোট পাখী এরা, মাথায় লাল ঝুটি। পুরুষ এবং স্ত্রী পাখির চেহারা ভিন্ন। পুরুষ পাখির মুখ ও থিতুনি কালো কিন্তু স্ত্রী পাখির থিতুনি ও গলা নীলচে সবুজ। সাধারণত মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বনটিয়া গাছের  কোটরে বাসা বাধে। সচরাচর ঘন বনে বাসা করে এবং বাসা প্রকৃতির সঙ্গে এমনভাবে মিশে থাকে যে হঠাৎ শনাক্ত করা বেশ কষ্টকর। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বনটিয়ার বংশ বিস্তার এবং অস্থিত্ব রক্ষায় সবার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর