শিরোনাম
রবিবার, ৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইসির সামনে যত কাজ

আগামী বছর তিন সিটি ও পৌর নির্বাচন ♦ চলছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ ♦ ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ♦ পিছিয়ে যাচ্ছে ভোটের সময়, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ♦ তিন শতাধিক পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হবে ♦ ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

গোলাম রাব্বানী

ইসির সামনে যত কাজ

নির্বাচন কমিশনের সামনে রয়েছে মহাকর্মযজ্ঞ। দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে, তা শেষ করে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে ইসিকে। এ ছাড়া আগামী বছরের এপ্রিলে তিন সিটি নির্বাচন রয়েছে। এরপর হবে সারা দেশে পৌরসভা নির্বাচন। সেইসঙ্গে বর্তমান সরকার স্থানীয় নির্বাচনকে নির্দলীয় করার সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচনী বিধিবিধানেও ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে কমিশনকে। ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পাশাপাশি বর্তমান কমিশনকে দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এর পরই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিদায় নেবে বর্তমান কে এম নূরুল হুদা কমিশন।

এদিকে চলতি বছরের ১৮ জুন রয়েছে শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচন এবং ২৪ জুন বগুড়া-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনও। এসব নির্বাচন নিয়েও বর্তমানে ইসির কর্মকর্তাদের ব্যস্ত সময় কাটছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশনের সামনে মহাকর্মযজ্ঞ রয়েছে। চলতি বছরই বিভিন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হবে। দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হবে। এ ছাড়া আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে পিছিয়ে যাচ্ছে ভোট গ্রহণের সময়। পৌর নির্বাচনে সকাল ৮টার পরিবর্তে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু করবে ইসি। এপ্রিলে তিন সিটি ভোট : আগামী বছরের এপ্রিলে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এপ্রিলের শেষ দিকে এ নির্বাচন করতে মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল তিন সিটিতে একই দিনে ভোট হয়।

এদিকে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি। ৫ মে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটির সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইসির একজন যুগ্মসচিব বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ভোট করার চিন্তা করছে ইসি। এ ক্ষেত্রে ১ মার্চ ভোটার দিবস রয়েছে। তাই ভোটার দিবসের পরই মার্চের প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিতে ইসির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তরে ভোট হওয়ার পর ১৪ মে প্রথম সভা হয়েছিল। সে হিসাবে উপনির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। আর দক্ষিণ সিটিতে প্রথম সভা হয় ১৭ মে। অর্থাৎ এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে। এ ছাড়া প্রায় কাছাকাছি সময়ে চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদও শেষ হবে। ২০১৬ সালে নভেম্বরে আনিসুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদ শূন্য হয়। নানা আইনি জটিলতার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র হন আতিকুল ইসলাম। ৭ মার্চ তিনি শপথ নেন।

ঢাকা-চট্টগ্রামে ইভিএম : আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সভার পর ইসি সচিব (সদ্যবিদায়ী) হেলালুদ্দীন আহমদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে সবখানে সম্ভব না হলেও অর্ধেক আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। সব পৌরসভায়ও ইভিএমে ভোটের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে পিছিয়ে যাচ্ছে ভোট গ্রহণের সময়। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সকাল ৮টার পরিবর্তে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু করতে চায় ইসি। সেই সঙ্গে ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালটসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। এজন্য ভোটও এক ঘণ্টা দেরিতে সকাল ৯ টায় শুরু হবে। এ ছাড়া দেশের তিন শতাধিক পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর