শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুঁজিবাজারে বাড়ল করসুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী অর্থবছরে শেয়ারবাজার থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশসীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত দেশি-বিদেশিসহ সব কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহারের ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। শেয়ারবাজারের কোনো রুগ্ন কোম্পানিকে শক্তিশালী কোম্পানির মাধ্যমে আত্তীকরণ করার বিষয়ে বিবেচনা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায়। প্রয়োজনে দরকষাকষির মাধ্যমে কিছুটা বিনিয়োগ সুবিধা দিয়ে হলেও এ কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেয়ারবাজার শক্তিশালী অবস্থানে আসবে।

বাজেটে বলা হয়েছে, স্টক ডিভিডেন্ডের পরিবর্তে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে নিয়ম-কানুন পরিপালন নিশ্চিত করার জন্য নজরদারি জোরদার করা হবে। বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, শিল্পে অর্থায়নে শেয়ারবাজার আদর্শ মাধ্যম হলেও বাংলাদেশে ব্যতিক্রম। এখানে ব্যাংক খাত থেকে স্বল্পমেয়াদি আমানতের বিপরীতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার প্রবণতা বেশি। এতে ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হয়; যাতে চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও ঋণগ্রহীতারা; যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে দেখা যায় না। এ সমস্যা রোধে শেয়ারবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থ সংগ্রহে উৎসাহ প্রদানের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একটি শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী শেয়ারবাজার।

 তাই অর্থনীতির পাশাপাশি বিকশিত শেয়ারবাজার দেখতে চাই।

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক করহার অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার ৩৭.৫০ শতাংশ; যা আগামী অর্থবছরেও একই পরিমাণ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া অতালিকাভুক্ত অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রেও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর