শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

নাটোরে আদালতে যাওয়ার পথে সাক্ষীকে হাত-পা কেটে হত্যা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের গুরুদাসপুরের স্বামী পরিত্যক্ত নারী সফুরা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী জালাল উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে তাকে কুপিয়ে হাত-পা কেটে হত্যা করেছে আসামিরা। এ সময় পায়ের রগ ও বাম হাতটিও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

পরে আহত অবস্থায় জালালকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। জালাল উদ্দিন উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় লোকজন এবং স্বজনদের ভাষ্য থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ মে উপজেলার যোগেন্দ্র নগর গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা নারী সফুরাকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সফুরার ভাই বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জালাল উদ্দিনকে প্রধান সাক্ষী করা হয়। সেই মামলায় গতকাল আদালতে সাক্ষীর হাজিরার নির্ধারিত দিন ছিল।

 সকালে জালাল উদ্দিন বাড়ি থেকে বের হলে যোগেন্দ্র নগর বাজারের কাছে প্রতিপক্ষে লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা জালাল উদ্দিনের ডান হাত কেটে নেয় এবং বাম হাতসহ পা কেটে জখম করে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাহারুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর