বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেছেন, ‘দলের ধারাবাহিক কর্মসূচির আলোকে কার্যক্রম নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে চলছে। কেন্দ্রীয় শুরায় কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সারা দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নতুন সেশনের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলছে।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। মাহফুজুল হক উল্লেখ করেন, ‘একের পর এক ইসলামী সংগঠনগুলোর মূল নেতৃত্বের ইন্তেকালের কারণে দলগুলো প্রায় যোগ্য ও অভিজ্ঞ নেতৃত্বশূন্য। তবু আমরা আশাবাদী এবং ঐক্যপ্রয়াসী। শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক ইসলামী ঐক্যজোট গঠন করেন। তার নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন। এখনো আমরা ইসলামী বিভিন্ন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি পালন করি।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর ইসলামী দলগুলোর কর্মকা- নেই এমনটি নয়। কমবেশি সবার কার্যক্রম চলছে। ইসলামী দলগুলোর কার্যক্রমও জাতীয় রাজনীতির ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। বাস্তবতা হলো, পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনই একটি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশ একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকেই যাচ্ছে; যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। সরকারের বাইরের দলগুলোকে রাজনৈতিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে না; যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। সড়ক দুর্ঘটনা, বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মানুষের মৃত্যুতে জনগণ আতঙ্কে আছে। এ ছাড়া হত্যা, ধর্ষণের সংবাদ তো প্রতিনিয়তই পাওয়া যাচ্ছে। দেশে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই।’ সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘দেশে উন্নয়ন হচ্ছে এটা সফলতা। তবে ঘুষ, দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। তা কোনোভাবে বন্ধ হচ্ছে না। এগুলো নির্মূল না করতে পারলে সফলতা ব্যর্থতায় পরিণত হবে।’ তিনি বলেন, ‘সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামছে না। বাসচালক, যাত্রীসহ সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে সরকারের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ দলীয় কার্যক্রম সম্পর্কে মাহফুজুল হক বলেন, ‘দলের কার্যক্রম নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগিয়ে চলছে। সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে। আমাদের সংগঠনের নিয়মতান্ত্রিক কিছু কর্মকা- আছে, যা এগিয়ে নেওয়াই আমার প্রথম টার্গেট। একটা নিয়মতান্ত্রিক দল হিসেবে হুট করে কিছু করে ফেলা যায় না। স্বাভাবিক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের সব ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
