শিরোনাম
বুধবার, ২৬ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

দিনাজপুরে আঙ্গুর চাষ

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে আঙ্গুর চাষ

গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে ফিকে সবুজ রঙের আঙ্গুর। দিনাজপুরের বাতাসে কমলা, চা চাষের সাফল্যের পর এবার আঙ্গুর চাষে সাফল্য এসেছে। দিনাজপুরের গাছে থোকা থোকা কমলার পর এবার ঝুলছে মিষ্টি আঙ্গুর। ব্যক্তিগত পর্যায়ে চাষ করে সফলতা এনেছেন দিনাজপুর শহরের আপেল মামুনের স্ত্রী দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক সাদীয়া সুলতানা। ৩ বছর ধরে আঙ্গুর চাষ করে আসছেন তিনি। আঙ্গুর ফলের গাছ দেখতে অনেকেই আসেন তার শহরের বাড়ি বালুবাড়ীতে। মাচার ওপর লতা গাছের আঙ্গুর ঝুলে আছে। কেউ কেউ পরিকল্পনা করছেন এই আঙ্গুর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা যায় কিনা। এদিকে, ভৌগোলিক কারণে হিমালয়ের পাদদেশে দিনাজপুরের অবস্থান হওয়ায় এ এলাকায় আঙ্গুর  চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ আঙ্গুরে নেই কোনো ফরমালিন, নেই কোনো ঝুঁকি তাই এ অঞ্চলের আঙ্গুর চাষও হতে পারে সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং লাভজনক।  এ অঞ্চলে আঙ্গুরের আবাদের প্রসার ব্যাপকহারে বাড়লে এ ফল আর আমদানি করতে হবে না। অর্থনৈতিক উন্নয়নেও ব্যাপক অবদান রাখবে। এ ব্যাপারে সহযোগী অধ্যাপক সাদীয়া সুলতানা জানান, আঙ্গুর গাছ রোপণের আগে গর্ত করে তাতে  জৈব সার প্রয়োগ করি। তারপর গাছ রোপণ করি। খরা মৌসুমে একটু পানি দেই। আঙ্গুর গাছে গোবর সার ও পানি প্রয়োগ করার কারণে বাড়তি কোনো সার দেইনি আর আলাদাভাবে পরিচর্যা করতেও হয়নি। গত বছরে আঙ্গুর গাছে ফল আসে। গাছের বিস্তৃতি ঘটায় মাচা তৈরি করতে হয়েছে। ২০১৫ সালের এপ্রিলে তার বোন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইঞ্জিনিয়ার সুলতানা কবীরের ঢাকার বাড়ির ছাদে আঙ্গুর চাষ করেন। সেখান থেকে চারা নিয়ে এনে লাগাই। পরে ২০১৬ সালে এ আঙ্গুর গাছে কিছু ফল আসে। এবারে হাজার হাজার আঙ্গুর ধরেছে। এটা খেতেও মিষ্টি ও সুস্বাদু। আঙ্গুর গাছটি পরিচর্যা করতে তাকে সহযোগিতা করেছেন তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর ও তার কন্যা প্রভাষক সুফিয়া কবির।

 এদিকে, কৃষি বিভাগ জানায়, এটা বরেন্দ্র অঞ্চলের অম্লভাবাপন্ন ও আবহাওয়া বিদ্যমান থাকায় কমলা ও আঙ্গুর চাষ হওয়া সম্ভব। এ সালফার (গন্ধক) পূর্ণ হলুদার্ভ কাকরযুক্ত লাল মাটি অঞ্চলের উৎপাদিত আঙ্গুর মিষ্টি ও রসালো হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর