শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

খেলাপি ঋণ নিয়ে সংসদে উত্তাপ সরল সুদে ঋণের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

খেলাপি ঋণ নিয়ে সংসদে উত্তাপ সরল সুদে ঋণের প্রস্তাব

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) এম এ মান্নান বলেছেন, ঋণখেলাপিরা দেশের অর্থনীতির জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা। যে কোনো মূল্যে এটা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকের সুদ আদায় করা হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। প্রথম কোয়ার্টারের টাকা না দিলে পরের কোয়ার্টার কম্পাউন্ড (যৌগিক) হয়ে যায়। এভাবে আসল একই থাকে কিন্তু সুদ বাড়তে থাকে। এক সময় বিশাল অঙ্ক দাঁড়ায়। এই চক্রবৃদ্ধি সুদ ব্যবসায়ী, সমাজকে, দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিটি ব্যাংককে সরল সুদে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। এতে দেশ ও জাতির উন্নতি হবে।’ গতকাল সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি নিয়ে উত্তপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ প্রতিদিনই বাড়ছে। অন্যদিকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের কারণে অনেক ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে পড়ছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন তিনি। এদিকে মেজর মান্নান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট হতে হবে জনগণের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিফলন। আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সর্বস্তরের মানুষের আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য নিরসন, জীবনমানের গুণগত পরিবর্তন। তবেই হবে সত্যিকারের গণমুখী বাজেট।’

সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলীয় এমপিরা একাদশ জাতীয় সংসদকে যেন অবৈধ না বলা হয় সেজন্য স্পিকারের রুলিং দাবি করেছেন। ঋণখেলাপি ও আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা নিয়ে সমালোচনা করে বিরোধী দলের সদস্যরা বলেন, অবিলম্বে একটা কমিশন গঠন করে ঋণখেলাপিদের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ ও একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জাতির সামনে তুলে ধরা হোক। আলোচনায় অংশ নেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সরকারি দলের মাহবুবউল আলম হানিফ, সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এবং বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্ন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান প্রমুখ। সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিএনপির সদস্যদের সমালোচনা করে বলেন, এই সংসদে কিছু সংসদ সদস্য দাঁড়িয়ে বলেন সংসদ অবৈধ। আমরা কেউ জনগণের ভোটে নাকি নির্বাচিত হইনি! সংসদকে উনারা যদি অবৈধ মনে করেন, তাহলে তারা এই সংসদে কেন আসেন, শপথ নিলেন কেন, সংসদে আসলেন কেন? সংসদে বসে সংসদকে অবৈধ বলা অনৈতিক। আমি স্পিকারকে বলব এ ব্যাপারে আপনি সুস্পষ্ট রুলিং দিন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর