শুক্রবার, ২৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

দিনাজপুরে টমেটোর বাম্পার ফলন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে টমেটোর বাম্পার ফলন

আপেল ও কমলার মতো দেখতে জেলায় টমেটোর এ বছরও বাম্পার ফলন হয়েছে। টমেটোর ফলনে কৃষকরা খুশি। তবে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে বাজারজাত করে ঢাকায় পাঠাতে চাষিদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাই টমেটো চাষিদের দাবি, অন্যান্য ফসলের মতো টমেটোরও ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হোক। শীতকালের সবজি হিসেবে পরিচিত টমেটো এখন জেলায় বছরের ৮ মাসই বাজারে পাওয়া যায়। উত্তরাঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন টমেটোর বৃহৎ উৎপাদন দিনাজপুরে। জেলা সদর, ফুলবাড়ী, চিরিরবন্দর, বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক গ্রীষ্মকালীন নাভি জাতের টমেটোর চাষ হয়। জানুয়ারির শেষে এই টমেটো আবাদের পর ক্ষেত থেকে তা তোলা হয় মার্চ মাসের শেষের দিকে। প্রতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার কাউগাঁ, গাবুড়া ও পাঁচবাড়ী বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকার টমেটো বেচাকেনা হয়। এসব টমেটো যায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

তবে সরকারিভাবে টমেটো সংরক্ষণ এবং বিপণনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর এলাকার টমেটো দেশে সরবরাহ করা যেত।  অনেক টমেটো প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নষ্ট হয়ে যায়।

সরকারসহ বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসে টমেটো কেন্দ্রিক শিল্প গড়ে তুললে এ অঞ্চলের কৃষকরা যেমন লাভবান হবে তেমনি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানও ঘটবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিশীলতাও বাড়াবে নিঃসন্দেহে।

শহর সংলগ্ন গাবুড়া নদীর তীরে শেখপুরার রাজারামপুরে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় টমেটোর বাজার। টমেটোর হাট গাবুড়াহাট থেকে চলতি মৌসুমে মাসে প্রায় দেড় হাজার ট্রাক টমেটো ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ৫০০ থেকে ৫৫০ ক্যারেট টমেটো লোড করা হয়। প্রতি ক্যারেটে ২৫ থেকে ২৭ কেজি টমেটো ভরা হয়। গড়ে প্রতিদিন এখান থেকে ৪-৬শ’ মেট্রিক টন টমেটো অর্ধ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

ঢাকার টমেটো ব্যবসায়ী জামাল জানান, গাবুড়া বাজার থেকে প্রতি ট্রাকে ১০ থেকে ১৫ টন টমেটো নিয়ে যাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, টমেটো সংরক্ষণে হিমাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। চলতি বছর জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এ বছর জেলায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর