পুরান ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানসংলগ্ন মেয়র হানিফ মসজিদ থেকে বুধবার রাতে এক খাদেমের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহত খাদেমের নাম আবু হানিফ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অন্য দুই খাদেমসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সাইফুল নামে অন্য এক খাদেমকে সন্দেহ করছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি মসজিদ কমিটি। তবে পুলিশের ধারণা, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এ হত্যাকা হয়ে থাকতে পারে। গতকাল মসজিদ কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন জানান, খাদেমদের কক্ষ থেকে গন্ধ বের হলে তারা লালবাগ থানায় খবর দেন। পরে খাদেমদের কক্ষের কাছে স্টোররুম থেকে হানিফের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, নিহত আবু হানিফ দুই মাস আগে ওই মসজিদে খাদেম হিসেবে যোগ দেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তার তিন মাস বয়সী একটি মেয়েও আছে। এ মসজিদে চারজন খাদেম ও একজন ঝাড়ুদার কাজ করেন। গত মঙ্গলবার রাতে সাইফুল নামে মসজিদের আরেক খাদেম নিখোঁজ হন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই দিন জোহর কিংবা আসরের নামাজের মাঝামাঝি কোনো এক সময় আবু হানিফকে হত্যা করা হতে পারে।
ালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফউদ্দিন বলেছেন, হানিফের শরীরে চারটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঢামেকে হানিফের স্বজনদের অভিযোগ, এ বছরই তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য আবু হানিফকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই আরেক খাদেম সাইফুলের সঙ্গে হানিফের বনিবনা হচ্ছিল না। এ কারণে হানিফ ওই মসজিদে কাজ করবেন না বলে আগেই তাদের জানিয়েছিলেন।