শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

লিবিয়ায় বিমান হামলায় নিহত বাংলাদেশিও

প্রতিদিন ডেস্ক

লিবিয়ার অভিবাসী শিবিরে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন অভিবাসী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি রয়েছেন। এইসঙ্গে আহত হয়েছেন আরও দুই বাংলাদেশি। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ৮০ জন। গত বুধবার ত্রিপলির বাইরে একটি বন্দী শিবিরে এ হামলা চালানো হয়। সূত্র : বিবিসি। ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই অভিবাসী শিবিরে ১৩ জন বাংলাদেশি ছিল। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন, আরও দুজন আহত হয়েছেন। লিবিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার বলেছে, বিরোধীদের বিমান হামলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খালিফা হাফতার-এর নেতৃত্বে সরকারবিরোধীরা অবশ্য এই হামলার জন্য সরকারি বাহিনীকেই দায়ী করেছে। জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেরাজ অভিযোগ করেন, স্ব-নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ওই শিবিরে হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, এই হামলা জঘন্য অপরাধ, পূর্বপরিকল্পিত ও নিখুঁত। অন্যদিকে তবে খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন ওই বাহিনী এলএনএ বলছে, যে এলাকায় হামলাটি হয়েছে- সেখানেই সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছেন তারা। বাহিনীটি গত সোমবার ঘোষণা দেয় যে, প্রচলিত যুদ্ধের সব কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় ত্রিপলিতে বিভিন্ন জায়গায় বিমান হামলা চালাবে তারা। এলএনএ জানায়, বন্দী শিবিরের কাছেই সরকারের একটি শিবির লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় তারা। যার জবাবে পাল্টা শেল ছোড়ে সরকারি বাহিনী। ওই শেলগুলোর একটি দুর্ঘটনাবশত অভিবাসী বন্দী শিবিরে আঘাত করে। এদিকে এই হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে বিবেচিত হতে পারে বলে জাতিসংঘ বলছে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার মিশেল বাখেলেট জানান, তাজুরা আটককেন্দ্রে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৬০০ অভিবাসী ও শরণার্থী বন্দী রয়েছে। বিমান হামলায় অনেক প্রাণ হারিয়েছেন। আহতও হয়েছেন অনেকে। আমাদের ধারণা চূড়ান্ত হিসেবে আরও বেসামরিক হতাহতের কথা জানা যাবে। তাজুরা আটককেন্দ্রসহ ত্রিপোলিতে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ অভিবাসী ও শরণার্থী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ ছাড়া সহিংসতার ঝুঁকি তো রয়েছেই। মিশেল বাখেট বলেন, পরিস্থিতি অনুসারে এই হামলা হয়তো যুদ্ধাপরাধ। দ্বিতীয়বারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রটি হামলার শিকার হলো।

সর্বশেষ খবর