রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঢাকার নদী তীরে হচ্ছে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার নদীর তীরে নির্মাণ হচ্ছে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে এই ওয়াকওয়ে নির্মাণ হবে।

গতকাল নদীতীর পুনর্দখলরোধে সীমানা পিলার স্থাপন এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া ঘাটে এ কাজের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল ইসলাম এবং প্রকল্প পরিচালক নুরুল আলম। একটি প্রকল্পের আওতায় এই কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সব নদী দখলমুক্ত করে বাংলাদেশের নদীমাতৃক রূপ তুলে ধরা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নদীতীর পুনর্দখলের চেষ্টা করবেন না। দখল করার  চেষ্টা করলে ভুল করবেন। দখলকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বুড়িগঙ্গাকে পুরনো রূপে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তার সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশে সার্কুলার নৌপথ  চালু করে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজতর করা হবে। বুড়িগঙ্গাকে হাতিরঝিলের ন্যায় নয়নাভিরাম করা হবে, বছরখানেকের মধ্যে এ দৃশ্য দেখা যাবে। বুড়িগঙ্গা হবে আনন্দ ও বিনোদনের কেন্দ্র। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করতে চাই। মানুষের জীবিকার জন্য নদী ব্যবহৃত হবে-আমরা সে রকম পরিবেশ গড়ে তুলব। তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে সরকার কাজ করছে। এক্ষেত্রে কেউ হস্তক্ষেপ করলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। তিনি নদী রক্ষায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে (৬ জুলাই থেকে) ঢাকা নদীবন্দর এলাকায় ৩৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার, রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল, দুই দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ/স্থাপন করা হবে। ৩,৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলারের মধ্যে ২,৩৪০টি সিঙ্গেল পাইলের এবং ১,৪৬৩টি ডাবল পাইলের হবে। ৩,৮০৩টি আরসিসি সীমানা পিলার নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ৭০ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলোর স্থাপনার কাজ শেষ হবে। রামচন্দ্রপুর হতে বসিলা ও রায়েরবাজার খাল হতে কামরাঙ্গীরচর পর্যন্ত এক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, এক কিলোমিটার কিওয়াল এবং দুই দশমিক পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে অন পাইল নির্মাণ/স্থাপনে প্রায় ৫৫  কোটি  টাকা ব্যয় হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এগুলোর স্থাপনার কাজ শেষ হবে।

সর্বশেষ খবর