সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ

সেই মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ৫ দিনের রিমান্ডে

শেষ নেই কোনো কিছুর

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

১২ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মামুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল সকালে পুলিশ আল আমিনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালত            ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।  ১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ৪ জুলাই সকালে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে মাওলানা আল আমিনকে আটক করে র‌্যাব-১১। এ সময় অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও জব্দ করে র‌্যাব। পরে এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা হয়। ৫ দিনের রিমান্ড  শেষে আল আমিনকে আদালতে আনলে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। মাওলানা আল আমিন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া এলাকার রেনু মিয়ার ছেলে। একই সঙ্গে তিনি ফতুল্লা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে আটকের পর র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া স্কুল শিক্ষকের ধর্ষণের ঘটনাটির প্রচারিত বিভিন্ন নিউজ ও ভিডিও আমরা আমাদের  ফেসবুক পেজে আপলোড করেছিলাম। এই নিউজ স্থানীয় একজন মহিলা যখন ফেসবুকে দেখছিলেন, তখন তার তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া  মেয়ে তার মাকে জিজ্ঞাসা করে যে, ‘স্কুলের ওই শিক্ষকের শাস্তি হলে আমাদের হুজুরের কেন শাস্তি হবে না? আমাদের হুজুরও তো আমাদের সঙ্গে এমন করে। শিশুটি তার মাকে বিস্তারিত জানালে শিশুটির মা র‌্যাব অফিসে এসে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন যে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একাধিক ছাত্রীকে তার বাসায় পড়তে গেলে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছেন। তিনি জানান, এরপর র‌্যাব এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধু ওই শিক্ষার্থী নয় ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছর ধরে ওই মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম  শ্রেণি পর্যন্ত ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানিও করেছেন। র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক জানান, এসব ঘটনার প্রমাণস্বরূপ আমরা তার মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার তল্লাশি করে প্রচুর পর্নোগ্রাফি ভিডিও পেয়েছি। কিছু কিছু পর্নোগ্রাফি সে নিজেও তৈরি করেছে। তার কাছে পড়তে আসা কোনো ছাত্রীর ছবির মাথার অংশ পর্নোগ্রাফি ভিডিওর সঙ্গে সংযুক্ত করে ছাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর