সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেডের কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কর্ণফুলী সু লিমিটেডের কর্মী ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুন নুরের (২৫) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে আনোয়ারা ইকোনমিক জোনের একটি পাহাড়ের ভিতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আবদুন নুর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনি গত ৫ জুলাই রাতে উপজেলার চৌমুহনী এলাকায় কর্মজীবী কিশোরী ধর্ষণ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানিয়েছে আনোয়ারা থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ইকোনমিক জোনের পাহাড়ের ভিতর এক যুবকের লাশ পড়ে আছে শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশ উদ্ধার করে। পরে তা ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুন নুরের লাশ বলে চিহ্নিত হয়। তাকে হয়তো প্রতিপক্ষরা হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। নিহত আবদুন নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি। এদিকে গত শুক্রবার ওই ধর্ষণের ঘটনার আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. মামুন (২১) ও মো. হেলাল উদ্দিনকে (৩০) গত শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওইদিন বিকালে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রানী রায়ের আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ধর্ষণের পরিকল্পনা করেই তারা চারজনের মধ্যে একজন চালক বেশে ও অন্যরা যাত্রীবেশে চাতরি চৌমুহনী এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডে কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে চন্দনাইশে বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। এরপর চৌমুহনী এলাকার কালারমার দীঘি এলাকায়  পৌঁছলে তারা ওই কিশোরীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে  ফেলে তারা পালিয়ে যান। এদিকে ঘটনার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও পুলিশ গিয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চৌমুহনীর কালারমার দীঘি এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ সার্ভিসে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর