সোমবার, ৮ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

পানিতে জীবাণু নিয়ে ওয়াসার ব্যাখ্যা চেয়েছে হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার চারটি জোনের পানিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও মলের জীবাণুর যে অস্বিত্ব পাওয়া গেছে সে বিষয়ে ওয়াসার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খারুরুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে রিটাকারী পক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দাখিলের পর ওয়াসা কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে ব্যাপারে আদালতের কাছে জানতে আবেদন জানিয়েছিলাম। আমরা বলেছি, সুপেয় পানি সরবরাহ করতে আইনগতভাবে তারা বাধ্য। তবে এক্ষেত্রে ওয়াসা ব্যর্থ হয়েছে। তাই আদালত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসার বক্তব্য জানতে চেয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ঢাকা শহরের নাগরিকদের পানি সরবরাহকারী সংস্থা ঢাকা ওয়াসার ১০টি মডস জোনের মধ্যে ৪টি এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনিঘাট এলাকা থেকে সংগৃহীত ৮টি পানির নমুনায় দূষণ পাওয়া গেছে। গত ৪ জুলাই হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এমনকি রাজধানীর এ পরিষেবা সংস্থাটির পানির কিছু কিছু নমুনায় মলের জীবাণুর অস্তিত্ব পর্যন্ত পাওয়া গেছে। এর আগে হাইকোর্ট গত ২১ মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়। এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। গত বছরের ৬ নভেম্বর হাই কোর্টের দেওয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটির সদস্যদের নামের তালিকা ১৮ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আদালত গত ২১ মে পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর