শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন

ইউএসটিসির সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান ড. মাসুদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিসি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন দিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তিনি নিজেই ২১ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি মাত্র চারজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ফলে বাকি ১৭ জন বিচারের বাইরেই থেকে যায়। তবে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রবীণ এ শিক্ষক। ৮ জুলাই তদন্ত কমিটি ইউএসটিসির উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইউএসটিসির প্রক্টর নুর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে একজন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী ও তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান ড. মাসুদ মাহমুদের : অধ্যাপক ড. মাসুদ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ইউএসটিসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ঘটনার দিন আমি নিজেই উপাচার্যের কক্ষে পুলিশের সামনে ২১ জনের নাম উল্লেখ করি। একই সঙ্গে তদন্ত কমিটির কাছেও আমি ২১ জনের নাম বলেছিলাম। কিন্তু এখন তদন্ত কমিটি মাত্র চারজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

পুলিশের ‘গড়িমসি’ ভূমিকা : প্রবীণ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ১০ দিন পার হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এ ঘটনায় মাত্র একজনকে গ্রেফতার করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চারজনের অপরাধ শনাক্ত করেছে। শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন দিয়ে লাঞ্ছিত করার মতো গুরুতর অপরাধ তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি ভূমিকা পালন করার অভিযোগ উঠেছে। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘প্রকাশ্য স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই ঘটনার দিন একজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনা তিনি একাই ঘটিয়েছেন। তবে আন্দোলনে তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। আমরা তার দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করছি। প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ২ জুলাই ড. মাসুদ মাহমুদকে নিজ কক্ষ থেকে বের করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর