শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা

মানবাধিকার পরিষদে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের ১৫ দফা প্রস্তাব গতকাল সন্ধ্যায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের ৪১তম অধিবেশনের শেষ দিনে প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি পর্বে বাংলাদেশের প্রস্তাবটির ব্যাপারে কোনো দেশ আপত্তি জানায়নি। এরপর অধিবেশনের সভাপতি সবার সম্মতির ভিত্তিতে ভোট ছাড়াই প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার ঘোষণা দেন। এর আগে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জেনেভায় জাতিসংঘের দফতরগুলোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রস্তাবটির বিভিন্ন দিক তুরে ধরেন। তিনি জানান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম প্রস্তাবটির পৃষ্ঠপোষক হয়েছে। এ ছাড়া ৪৩টি রাষ্ট্র  এ প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই প্রস্তাব ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কাজ করা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, আগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে গতিতে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়েও অনেক দ্রুত ঘটছে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর দায় কম থাকলেও প্রভাব পড়ছে অনেক বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন এই দেশগুলোর মানবাধিকার চর্চা ও উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পাকিস্তান ও ফিজির প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সাধুবাদ জানান। ডেনমার্কের প্রতিনিধি আশা করেন, সব রাষ্ট্র নিজ নিজ অবস্থানে থেকে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবে। জেনেভা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গৃহীত প্রস্তাবটিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটিতে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ধীরে ধীরে সংগঠিত বিপর্যয় এবং সব ধরনের মানবাধিকার চর্চার ওপর এসব বিপর্যয়ের বিরূপ প্রভাবের ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সবার, বিশেষ করে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোর ও তাদের জনগণের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে।

সর্বশেষ খবর