পড়ন্ত বয়সে আষাঢ় তার রূপ দেখাতে শুরু করল। সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকাও বৃষ্টিস্নাত। দুপুর থেকেই থেকে থেকে বৃষ্টির হানা। গ্রামের মেঠোপথ থেকে শুরু করে রাজধানীর পিচঢালা রাজপথেও বাদলদিনের আধিপত্য। এমন দিনে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যেই সময় কাটাতে ভালোবাসে বর্ষাপ্রিয় বাঙালি। কিন্তু বৃষ্টিপ্রেমীদের ঘরের বাইরে এনে সুরে সুরে ভিজিয়ে দিতেই সংগীত ভবন আয়োজন করে বর্ষার গানের।
গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় সুরেলা বর্ষার আসর। ‘বিশ্ববীণারবে বিশ্বজন মোহিছে’ গানটির সম্মেলক পরিবেশনার মধ্য দিয়েই শুরু হয় ‘আষাঢ়ের নব আনন্দ’ শিরোনামের এ আয়োজন। এরপর একক কণ্ঠে সীমা সরকার গেয়ে শোনান ‘হেরিয়া শ্যামল ঘন নীল গগনে/সেই সজল কাজল আঁখি পড়িল মনে’, পীযুষ বড়ুয়ার কণ্ঠে গীত হয় নজরুলের বর্ষার গান ‘শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে’, স্বপন কুমার দাস গেয়ে শোনান ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী, রিফাত জামাল মিতু গেয়ে শোনান ‘আমার নিশীথরাতের বাদলধারা, সর্ববাণী চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘ওগো তুমি পঞ্চদশী, তুমি পৌঁছিলে পূর্ণিমাতে’, গোলাম মোস্তফার কণ্ঠে গীত হয় ‘আষাঢ় মাইসা ভাসা পানিরে’, এমদাদ হোসেন গেয়ে শোনান ‘আকাশ এত মেঘলা যেও নাকো একলা’, আমিনা আহমেদের কণ্ঠে গীত হয় ‘বরষা আইল ওই ঘন ঘোর মেঘে দশদিক তিমিরে আঁধারি’। এরপর দ্বৈত কণ্ঠে সালেহ মোহাম্মদ খোকন ও নিবেদিতা হালদার পরিবেশন করেন ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে’, এবং সুপর্ণা দে ও তাহমিনা তনু দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদলদিনে/জানি নে, জানি নে কিছুতে কেন যে মন লাগে না’। এরপর ‘এসো শ্যামল সুন্দর, আনো তব তাপহরা তৃষাহরা সঙ্গসুধা’ গানের সঙ্গে একক নৃত্য পরিবেশন করেন নেওয়াজ মৃন্ময় খুকুমনি। গানের ফাঁকে ফাঁকে বর্ষাবিষয়ক কবিতা আবৃত্তি করেন মৌমিতা জান্নাত। ‘ধরনীর গগনের মিলনের ছন্দে, বাদলবাতাস মাতে মালতীর গন্ধ’ গানটির সঙ্গে তাহনীনা ইসলামের নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়েই আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।