সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
শেখ হাসিনার ট্রেনে হামলা

সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনার আলোচিত ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা, গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল দুপুরে পাবনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এ তারা আত্মসমর্পণ করেন।

সরকারপক্ষের আইনজীবী আকতারুজ্জামান মুক্তা বলেন, গত ৩ জুলাই ওই মামলার রায়ে ৯ জনের মৃত্যুদ , ২৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ১৩ জনের দশ বছরের সশ্রম কারাদ াদেশ দেন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী।

এ মামলায় পলাতক ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন রবিবার আত্মসমর্পণ করলেন। তাদের মধ্যে ৪ জন যাবজ্জীবন এবং ৩ জন ১০ বছর কারাদ াদেশপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। আত্মসমর্পণকারী সাত আসামি হলেন- যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আছির উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম, আবদুল গফুর গার্ডের ছেলে মো. রবি, জালাল গার্ডের ছেলে মামুন, জয়েন উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ এবং দশ বছর কারাদ প্রাপ্তরা হলেন- মহসীন রিয়াজীর ছেলে রনো, জামাত আলী সরকারের ছেলে চাঁদ আলী, মতিউর রহমান সরদারের ছেলে হুমায়ুন কবির। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। সব আসামির বাড়ি ঈশ্বরদী উপজেলায়। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও পথসভার করার কথা ছিল। শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ট্রেন ও তার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় ওই সময়ে জিআরপি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সিআইডি মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুন করে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ ৫২ জনকে এই মামলায় আসামি করা হয়। পরে সিআইডির তদন্ত  শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলা নম্বর এসটি ৪২/৯৭। দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত ৩ জুলাই এই মামলার রায় ঘোষণা করে আদালত।

সর্বশেষ খবর