সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

সাক্ষ্য দিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর

ফেনী প্রতিনিধি

সাক্ষ্য দিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর

বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর নুসরাত হত্যা মামলায় দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মামলার সাক্ষী সোনাগাজী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আবদুল হালিম মামুন তার সাক্ষ্যে আদালতকে বলে, ‘আমি ছয় বছর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলাম। অধ্যক্ষের অপকর্ম, দুর্নীতি, টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় কৌশলে আমাকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নুসরাতকে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে এবং অধ্যক্ষের পক্ষে ২৮ এপ্রিল সোনাগাজীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। আমি প্রতিবাদকারীদের পক্ষে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। এ কারণে আসামি শামীম ও নূর উদ্দিন লাঠি নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া আসামি জাবেদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোনাগাজীর ডাঙ্গিখাল থেকে যখন বোরকাটি উদ্ধার করা হয়েছিল, সে সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।’ মামলার অপর সাক্ষী ছিলেন মোহাম্মদ ইউছুপ। আজ সাক্ষ্য দেবেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, মোহাম্মদ ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্সচালক নুরুল করিম। এ পর্যন্ত এই মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার ১৬ আসামিকে জেলা কারাগার থেকে এনে আদালতের কাস্টডিতে রাখা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ আনেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে নুসরাতকে কৌশলে ডেকে পাশের ভবনের তিনতলার ছাদে নিয়ে সিরাজ-উদ-দৌলার সহযোগীরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করে নুসরাত।

সর্বশেষ খবর