বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

আদালত স্থানান্তর পুলিশের মামলা

বিচারকের খাসকামরায় হত্যা

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

আদালত স্থানান্তর পুলিশের মামলা

কুমিল্লায় আদালতপাড়ায় পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। গতকাল আদালত অঙ্গনে প্রবেশের প্রধান ফটকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টে আদালতে প্রবেশে বিচার-সংশ্লিষ্টদের ব্যাগ, রিকশা, প্রাইভেটসহ অন্যান্য যানবাহনে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় রক্তের দাগ এবং আলামত সংগ্রহে সাময়িকভাবে ওই আদালতের কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খাসকামরায় ঢুকে আসামিকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গতকাল আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ভাব দেখা গেছে। তবে আদালতে বিচার কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে। কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতে আসামি হত্যার ঘটনায় রক্তের দাগ ও কিছু আলামত রয়েছে। এটি তৃতীয় তলায় অবস্থিত। ওই আদালতটি একই ভবনের নিচতলায় সাময়িকভাবে সরিয়ে নিয়ে যথারীতি বিচারকাজ চলছে। এ ছাড়া মামলা হওয়ায় পুলিশের তদন্তকাজও চলছে। তবে ওই ঘটনায় আইনজীবী ও বিচার-সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক কেটে গেছে। পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি : কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাসকামরায় ঢুকে ফারুক নামের এক আসামিকে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি হাসান ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল কুমিল্লা সদর আদালতের বিচারক মো. জালাল উদ্দিনের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করায় বিচারক তাকে রিমান্ডে না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মাইনউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামি হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।

সর্বশেষ খবর